টেকনাফে ফের অপহরণ

মুক্তিপণ দাবিতে জিম্মি সাত

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহকালে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ ৯ জনকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশি অভিযানের মুখে দুই শিশুকে ছেড়ে দিলেও জিম্মি রয়েছে সাতজন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।

অপহৃতরা হলেন উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (১৭), ফজল করিম (৩৮), জাবেরুল ইসলাম (৩৫), আরিফ উল্লাহ (২২), মোহাম্মদ রশিদ (২৮), মোহাম্মদ জাফর (৩৮), মোহাম্মদ জয়নুল (৪৫), মোহাম্মদ আমির (১১) ও রিফাত উল্লাহ (১২)।

এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর মোহাম্মদ আমির ও রিফাত উল্লাহকে সন্ত্রাসীরা ছেড়ে দিয়েছে। তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল সকালের দিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা দলবেঁধে পাহাড়ে ভেতরে কাঠ সংগ্রহ করতে যান। দুপুরের দিকে পাহাড়ের গহিনে মুখোশধারী ও অস্ত্রধারী ১৫ থেকে ২০ জন তাদের ঘিরে ফেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় তারা ৯ জনকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়। এর মধ্যে দুই কিশোর পালিয়ে এসেছেন বলে শুনেছি। অপহরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো পুলিশকে অবহিত করেছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশের কয়েকটি দল অভিযানে রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের সঙ্গে পাহাড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে সহযোগিতা করছে। বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, ঘটনায় কারা জড়িত পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযানের পাশাপাশি জড়িতদের শনাক্তের পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ৯ জন ছাড়া এর আগে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক ৪১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা হলেও ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। যেখানে ২২ জন মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফেরত আসার তথ্য জানিয়েছিল। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ দুই শিশু অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসে। এ ছাড়া ২১ জানুয়ারি হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক পাহাড়ি ঢালার ভেতর থেকে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়।