ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা লুট

পরিকল্পনাকারী ড্রাইভার সোহেল গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের সাবেক গাড়িচালক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। গতকাল দুপুরে ডিএমপির ডিবি প্রধান, অতিরিক্ত কমিশনার

মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে আরও এক মূল পরিকল্পনাকারী আকাশকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবি প্রধান হারুন বলেন- শুক্রবার সাভার-হেমায়েতপুর থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও বলেন- ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল পরিকল্পনায় ছিল তিনজন। তিন পরিকল্পনাকারীর মধ্যে সোহেল রানা অন্যতম। সে একসময় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠান মানিপ্লান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের চালক হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি বলেন, গোপন তথ্য ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে সোহেল রানাকে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। আর উদ্ধার হয়েছে ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি নোয়াহ গাড়ি।

এর আগে ৯ মার্চ সকালে তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী ১১ নম্বর সড়কে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী মানিপ্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের গাড়ি থেকে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই ৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে আসামি সোহেল রানা শিশিরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

এদিকে ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি হৃদয় ও মিলন। এ নিয়ে ৯ জন ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গতকাল শনিবার রিমান্ড চলাকালীন আসামি হৃদয় ও মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।