বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ফের সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্য হবে দেশ

বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দুটি গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এদেশ আবার সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।

গতকাল রাজধানীর ধোলাই খালে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতিবাজ-খুনি বিএনপির হাতে দেশের ক্ষমতার মঞ্চ ফিরিয়ে দিতে পারি না। বিএনপি চোর নয় মহা চোর। গলি-গলিতে শোর, তারেক রহমান বড় চোর। দুর্নীতিবাজ-ভোট চোর, অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে। আন্দোলন-নির্বাচনে খেলা হবে। পায়ের তলায় মাটি থাকলে বড়-বড় কথা না বলে নির্বাচনে এসে প্রমাণ করুন। মুখে-মুখে ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা যাবে না। জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে হলে নির্বাচনে জনগণের রায় নিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলকে দেখতে মনে হয় ভদ্রলোক তবে অন্তরে তার বিষ আর বিষ। দেশে রাজনীতির অঙ্গনে সেরা প্যাথিলজিক্যাল লায়ারের নাম মির্জা ফখরুল। কথায়-কথায় শুধু মিথ্যা বলে। ফখরুলের মুখে অশ্রাব্য কথা শুনতে লজ্জা হয়। দুর্নীতিতে বিএনপি পর-পর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতারা যখন দুর্নীতির কথা বলে তখন জনগণের মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। বিএনপির লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বেপরোয়া গাড়ির, বেপরোয়া চালক। চলতে-চলতে বিএনপির আন্দোলনের গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। আন্দোলনের মরা গাঙে আর জোয়ার আসবে না। বেপরোয়া কথাবার্তা বলে বিএনপির আন্দোলনের গাড়ি খাদে পড়ে গুরুতর জখম। আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন শেখ হাসিনা। দেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক করেছেন শেখ হাসিনা। গত ৪৮ বছরে দেশে তার মতো এত জনপ্রিয় সৎ নেতার জন্ম হয়নি। শেখ হাসিনার মতো এত দক্ষ প্রশাসক জন্মায়নি। তিনি দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের চিন্তা করেন। ফখরুল সাহেব আপনাদের মতো পকেটে উন্নয়নের চিন্তা করেন না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, প্রচার সম্পাদক সাইফুদ্দিন সাগর, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, দক্ষিণের কার্যনির্বাহী সদস্য রাকিব হাসান সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ প্রমুখ।