জয়ের সঙ্গে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শফিক কলিম

আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হলেও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব যোজন-যোজন। এমন দু’দলের খেলায় যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও থাকবে দূরত্ব সেটা আগাম বলে দেয়া যায়, আদতে হয়েছেও তা। দিন পাঁচেক আগে শেষ হওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশড করার পর তো লাল-সবুজ ক্রিকেটাররা রীতিমতো উড়ছেন। সিলেটে গতকাল শুরু হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১৮৩ রানের ব্যবধানে আইরিশদের হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করার কক্ষপথে উঠেছেন তামিম ইকবালের দল। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান (৯৩)-তৌহিদ হৃদয়ের (৯২) ১৩৫ রানের জুটির পরে মুশফিকুর রহিমের (৪৪) তাণ্ডবে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেট খুইয়ে ৩৩৮ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। এরপর ইবাদত হোসেন (৪/৪২), নাসুম আহমেদ (৩/৪৩), তাসকিন আহমেদের (২/১৫) বোলিং তোপে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশদের ইনিংস।

অথচ ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের মধ্যেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে মাত্র ৩ রানে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফেরার পর লিটন দাস স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকলেও দশম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে কাভারে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে ৩১ বলে ২৬ রান শেষে থামেন তিনি। সেখান থেকেই ইনিংসের দায়িত্ব বুঝে নেন সাকিব, প্রান্ত বদলের চেষ্টা করে তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথমদিকে সাকিব বেশ নড়বড়ে থাকলেও শান্ত অন্য প্রান্তে উইকেট বুঝে খেলার চেষ্টা করছিলেন। তবে ১৭তম ওভারে হুট করে মনোযোগ হারিয়ে ম্যাকব্রাইনের বলে স্টাম্প খুইয়ে বসেন ৩৪ বলে ২৫ রানে থাকা শান্ত। এরপর পাঁচে নেমেই অভিষিক্ত হৃদয় যেন ভয়ডরহীন ক্রিকেটের বার্তা দেন। তার সঙ্গে থাকা সাকিব ২৪ রানে থেকে সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ছুঁয়ে ফেলেন ৭০০০ ওয়ানডে রানের মাইলফলক। সেখান থেকেই ৬৫ বলে সাকিব পেয়ে যান নিজের ৫৩তম ওয়ানডে ফিফটির দেখা। ইনিংসে গিয়ার পাল্টান ফিফটি পাওয়ার পরপরই। টেক্টরের করা ৩৫তম ওভার থেকে ৫টি চারে সাকিব নেন ২২ রান! সাকিবের উৎসাহে হৃদয় নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফটি পেয়ে যান ৫৫ বলে। ৩৮তম ওভারে এসে সেই আক্রমণের ধারা বজায় রাখতে গিয়ে সাকিব ফেরেন ৮৯ বলে ৯৩ রান শেষে হিউমের শিকার হয়ে। ফুল লেংথের সেই বল খেলতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে নিজের কাল ডেকে আনলে অন্য প্রান্তে থাকা হৃদয় এগিয়ে যান সেঞ্চুরির দিকে। উইকেটে এসেই ঝড় তুলে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুশফিক। তবে দুজনেই আশাহত হয়ে ফেরেন মাইলফলকের কাছে গিয়েই। হিউমের শিকার হয়ে ২৬ বলে ৪৪ রান শেষে মুশফিক ফেরার পর এক বলের মধ্যেই দারুণ এক ইয়র্কারে স্টাম্প খুইয়ে ৮৫ বলে ৯২ রান শেষ থামেন হৃদয়। শেষদিকে হিউম দারুণ বল করলেও নাসুম আহমেদের ৭ বলে ১১* রানে বাংলাদেশ তাই পেয়েছে নিজেদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে সংগ্রহ।