স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন দেশের মানুষের উন্নতির জন্য, তাদের স্বস্তিতে থাকার জন্য। কারণ, তিনি জাতির পিতার কন্যা, জাতির পিতার আদর্শে গড়া মানুষ। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর দেশের দায়িত্ব পরিচালনায় ছিলেন। এই অল্প সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিসিপিএস, বিএমআরসি প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদাসহ স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর সূচনা করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন আমাদের এখন কী কী কাজ করতে হবে। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার আদর্শকে ধারণ করে দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবাকে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটরিয়াম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের প্রায় ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করছেন। নতুন করে ৫টি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজ, ২২টি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতিটি জেলায় বেড সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছেন। জেলা হাসপাতালগুলোতে অতি জরুরি ১০টি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। উপজেলা হাসপাতালে বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসা খাতে আগামীর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যান্সার, কিডনি, লিভার-চিৎিসা খাতে মানুষ যাতে ঢাকায় না এসে নিজ বিভাগেই নিতে পারে সেজন্য দেশের ৮ বিভাগেই ৮টি অতি উন্নত ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৫ তলাবিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের মা ও শিশুদের জন্য আলাদা করে সেবা দেয়ার জন্য। দ্রুতই দেশের প্রতিটি জেলায় ৩০-৫০ বেডের আলাদা করে মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশে^র রোল মডেল হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেবে এই শক্তি কারো নেই। কোনোভাবেই এই দেশে আর কাউকেই অরাজকতা করতে দেয়া হবে না। সামনে নির্বাচন আসছে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন বিধি আছে, সেই বিধির বাইরের কোনো প্রস্তাব শেখ হাসিনা গ্রহণ করবেন না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য রাখেন নিপসম-এর লাইন ডিরেক্টর আব্দুল মান্নান, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিনসহ অন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
