বাংলাদেশের নিশ্চিত জয় ভাসল বৃষ্টিতে

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

আয়ারল্যাড ইনিংস শুরুর আগে সিলেটে হানা দেয় বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি ভাসিয়ে এনেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য দুঃখ-যন্ত্রণা। কেন না, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির আগে মুশফিকুর রহিম (১০০*) ঝড় দেখিয়েছেন, ক্যারিয়ারের সাত হাজার ওয়ানডে রান, নবম সেঞ্চুরির সঙ্গে দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। তার সঙ্গে লিটন দাস (৭০), নাজমুল শান্ত (৭৩) আর তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ৫ উইকেটে ৩৪৯ রানের দলীয় সর্বোচ্চ রান তোলেন টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশের ইনিংসের পর পরই নামল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির মাত্রা কখনো হলো প্রবল, কখনো হলো মাঝারি। কিন্তু পুরোপুরি আর বৃষ্টি থামল না। শেষ পর্যন্ত কাটঅফ সময়ের এক ঘন্টা আগেই ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় বাংলাদেশের নিশ্চিত ‘জয় ডাকাতি’ হয়ে গেছে। ম্যাচ শুরুর শেষ সময় ৯টা ৩৩ মিনিট নির্ধারণ করা হলেও বৃষ্টির গতি-প্রকৃতির কারণে শেষ পর্যন্ত ৮টা ৩২ মিনিটে ম্যাচ অফিসিয়ালরা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। খেলা শুরু সর্বশেষ সময় ছিল রাত ৯টা ৩৩। তবে বৃষ্টি থেমে এই সময়ের মধ্যে আর মাঠ প্রস্তুত করার সম্ভাবনা না থাকায় আগেভাগেই ভেস্তে গেছে ম্যাচ।

অথচ মুশফিকের দারুণ সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া মুশফিকের অনবদ্য ইনিংসের সাথে লিটন দাস ও নাজুমল হোসেন শান্তর ফিফটিতে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড নতুনভাবে লিখল বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে তামিম ইকবাল ফিরেছিলেন ২৩ রানে। সেখান থেকে শান্তকে সঙ্গী করে দারুণ এক জুটি গড়েন লিটন। জুটিরে শুরুটা সাবধানী হলেও দ্রুতই গিয়ার পালটে দলীয় শতরান তারা পূর্ণ করে ২০তম ওভারেই। ঠিক পরের ওভারেই দারুণ এক ছয় মেরে ৫৩ বলে ফিফটি পেয়ে যান লিটন।

২৬তম ওভারে জুটিও শতরানের মাইলফলক ছুঁলে এক বল পরেই নিরিহ এক বলে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে ৭১ বলে ৭০ রান শেষে থামেন লিটন।

ফেরার আগে অবশ্য যৌথ দ্রুততম বাংলাদেশি হিসেবে (৬৫ ইনিংসে) ২০০০ ওয়ানডে রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। লিটনের বিদায়ের পর ৫৯ বলে শান্ত পেয়ে না নিজের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি। অন্য প্রান্তে উইকেটে নবাগত সাকিব আল হাসান ছটফট করতে থাকলে তিনি ১৯ রানে ফিরে যান স্লোয়ার মাঠছাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে। সাকিবের পথে হেঁটে এক ওভার পরেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৭৭ বলে ৭৩ রান করা শান্ত। সেখান থেকেই হৃদয়কে নিয়ে তাণ্ডব শুরু করেন মুশফিক।