বিএনপিতে বিদ্রোহী আতঙ্ক কঠোর অবস্থানে হাইকমান্ড

শওকত মাহমুদের বহিষ্কার নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রকীবুল হক

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে কঠোর আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তবে দলের এ অবস্থানের বাইরে গিয়ে সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে বা ভিন্ন উদ্দেশ্য হাসিলে একটি গ্রুপ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে বিএনপিতে সন্দেহ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমনই একটি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত বা সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের বিষয়ে দলটির কঠোর অবস্থান ও নজরদারি রয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারি বিভিন্ন মহল থেকেও বলা হচ্ছে যে, বিএনপি আগামী নির্বাচনে না এলেও তাদের দলের অনেকে আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন।

এদিকে সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয়তাবাদী দলের অন্যতম বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির শীর্ষ মহল থেকে কেউ প্রকাশ্য মন্তব্য না করলেও ভেতরে ভেতরে অনেকেই হতবাক হয়ে গেছেন। বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকে বিষয়টিকে খুব বেশি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে না বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় শওকত মাহমুদকে। তবে বাস্তবে সরকারের যোগসাজশে ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’র ব্যানারে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন- এমন অভিযোগেই শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিএনপির আরও অনেকে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে দলটির সন্দেহ। তবে এসব সন্দেহভাজনদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। দলের মধ্যে কোনো ভাঙ্গন বা বিদ্রোহ রোধ করতে আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজনদের তৎপরতা বিবেচনায় নিয়ে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারেও বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

এর আগেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির অনেক নেতাকে বহিষ্কার করার নজির আছে। সর্বশেষ বহিষ্কার হন বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুস সাত্তার। যিনি সরকারের অঘোষিত সমর্থন নিয়ে ফের এমপি নির্বাচিত হন। এছাড়া দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

তাই শওকত মাহমুদের পর বহিষ্কারের তালিকায় কে থাকছেন তা নিয়ে দলটিতে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তারা (জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি) ২১৬ জন প্রার্থী বাছাই করেছেন। আর এ পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহের তালিকায় ৪২ জনের নাম লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। এতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আলোচনা হচ্ছে শওকত মাহমুদের পরে কে বহিষ্কার হবেন?

সূত্র জানায়, মূলত যারা তরুণ, এলাকায় জনপ্রিয় অথচ বিগত জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি তাদের টার্গেট করে আগামী নির্বাচনে এমপি বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকায় কাজ করার জন্য গ্রিন সিগনাল দেয়া হয়েছে ইনসাফ কায়েম কমিটির পক্ষ থেকে। এ সিগনালের কারণেই বিএনপির অনেক স্থানীয় জনপ্রিয় নেতা দলীয় কর্মসূচিতে নিষ্ক্রিয় থাকেন। এ তালিকাও বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে আছে বলে দাবি করছেন দলটির নেতারা।

এদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, ১/১১ থেকে শিক্ষা নিয়ে সংস্কারপন্থিদের ঠাঁই দিতে চায় না বিএনপি। এবারও সরকার থেকে বিএনপির একটি বলয়কে নির্বাচনে অংশ নেয়ার নীল নকশা করবে- এটি মাথায় রেখেই সন্দেহভাজনদের প্রতি তীক্ষè দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।

বিএনপির এক শীর্ষনেতা জানিয়েছেন, দলের ভেতর ১/১১-এর মতো পরিবেশ দেখতে চান না তারা। এর আগেই চিহ্নিতদের শেকড় উপড়ে ফেলতে নির্বাচনের আগেই কঠিন সিদ্ধান্তে যাবে বিএনপি। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের বেশ কিছু নেতাকে আগে থেকেই নজরদারিতে রেখেছে বিএনপি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে ‘ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস বা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ নামে নাগরিক অধিকারবিষয়ক একটি সংগঠনের আহ্বায়ক কবি ফরহাদ মজহার, সদস্য-সচিব শওকত মাহমুদ, বিএনপি ও সমমনা বিভিন্ন দলের নেতাদের নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করে সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি সংবলিত একটি ঘোষণা পাঠ করা হয়।

সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ মজিদ, অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ইউসুফ হায়দার চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, হাসান হাফিজ, ইলিয়াস খান, দিগন্ত মিডিয়ার চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ প্রমুখ।

ওই অনুষ্ঠানের ৫ দিন পর গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে (ভার্চুয়াল) ইনসাফ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের প্রসঙ্গে বিস্তর আলোচনা হয়। তাতে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জোরাল মত দেন সদস্যরা।

বিএনপি নেতাদের ধারণা, বিএনপিবিরোধী প্ল্যাটফর্ম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেসক্রিপশনেই ইনসাফ পরিচালিত হচ্ছে। ভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র মতে, ওইদিন বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ও দলের বঞ্চিত নেতাদের অনেকেই অংশগ্রহণের কথা ছিল। তবে দলের তরফ থেকে তাদের ওই অনুষ্ঠানে যোগদান না করতে অনুরোধ জানানো হয়। তাদের প্রতিও নজর রাখছে বিএনপি। তাই শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের পর অনেকের মধ্যেই শঙ্কা কাজ করছে।

তবে, সংগঠনের স্বার্থে ও দলীয় শৃঙ্খলা ধরে রাখতে শক্ত অবস্থানে বিএনপির হাইকমান্ড। চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য এ বিষয়ে কৌশলী হচ্ছে দলটি।

সূত্রমতে, বৈঠকে সন্দেহের তালিকায় আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা উঠলেও এখনই বহিষ্কার না করার বিষয়ে মতামত দেন স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য।

এদিকে ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ কোনো রাজনৈতিক দল নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।

বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি সামাজিক সংগঠন। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার মতো চুনোপুঁটি দিয়ে সরকার বিএনপি ভাঙতে যাবে কেনো, কত রাঘববোয়াল আছে। মূলত অনেক সিনিয়র নেতা উল্টোপাল্টা করতে পারেন। আমাকে বহিষ্কার করে তাদের থ্রেট দেওয়া হয়েছে। সরকারের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

শওকত মাহমুদ আরও বলেন, আমরা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করেছি। এটা গ্রহণ করা বা না করা রাজনৈতিক দলগুলোর এখতিয়ার। এটা হয়তো বিএনপি ভুল বুঝেছে। আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারত-বিষয়টা কী। তারা এটা করেনি। এটা অমূলক কাজ হয়েছে। আশা করি, বিএনপি ভুল সংশোধন করে নেবে।

শওকত মাহমুদের বহিষ্কারের বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, এটা পরিষ্কার। এখানে ইনসাফ বা বেইনসাফ কে কি করলো তাতে বিএনপির কিছু আসে যায় না।

তিনি বলেন, আগেও বিএনপির আকাশ থেকে অনেক বড় বড় তারকা চলে গেছেন, বিএনপির ক্ষতি হয়নি। বরং যারা চলে গেছেন, তারাই হারিয়ে গেছেন।

এর আগে ২০২২ সালের ২৭ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে ‘পেশাজীবী সমাজের’ ব্যানারে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে শওকত মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। যেখানে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীও ছিলেন। পরে গত বছরের ৬ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবীদের ব্যানারে ওই সমাবেশ করায় শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চায় বিএনপি।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হয়। এর পরের বছরের ১৩ ডিসেম্বর ‘সরকারের পতনের’ লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও জমায়েত করা হয়। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ওই সময়েও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।

গত তিনদিন আগে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে মতবিরোধ থেকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোট ত্যাগ করে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের বাংলাদেশ লেবার পার্টি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিতে অতীতেও কোনো ভুল করেনি, এখনো করে না। যারা ভুল করবে, অন্যায় করবে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা অমান্যকারী এবং চক্রান্তকারীদের জন্য একটি মেসেজ। দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে কাজ করা যাবে না। দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রীদের কোনো ক্ষমা নেই।

শওকত মাহমুদের বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করে বিএনপিপন্থি কয়েকজন বুদ্ধিজীবী জানান, শওকত মাহমুদের মতো একজন বুদ্ধিজীবীকে দল থেকে তড়িঘড়ি করে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত খুব বেশি বিচক্ষণতার পরিচয় নয়। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বা দলের বিশেষ কোন ব্যক্তির চাওয়ার প্রতিফলন হতে পারে এটি।

তারা বলেন, সরকারের সঙ্গে যোগসাজসের যে অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারও কোন তথ্যপ্রমাণ নেই। সাংবাদিকরা এমনিতেই স্বাধীন চেতা মানুষ। দলের বাইরেও তারা বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত হতে পারেন। এজন্য একজন বুদ্ধিজীবীকে দল থেকে বের করে দেয়ার আগে আরও ভাবার দরকার ছিল। এর আগেও একইভাবে বিভিন্ন সময়ে আনোয়ার জাহিদ, রিয়াজ রহমান, গিয়াস কামাল চৌধুরীর মত সাংবাদিককেও দল থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল বিএনপি, যা অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত ছিল।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থি সাংবাদিক নেতা ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়া বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদটি শওকত মাহমুদের জন্য এসেট ছিল বলে আমার কখনও মনে হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া তাঁকে কতটা পছন্দ করতেন, তা দেখেছি তাঁর (শওকত মাহমুদের) জীবনের বিপন্ন সময়ে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক পদে তাঁর (শওকত মাহমুদ) অর্জনের চেয়ে বিসর্জনই বেশি। ক্ষমতার কোন স্বাদ পাননি। অর্ধশতাধিক মামলা মাথায় নিয়ে দশ মাস জেলখাটাসহ অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। যে ইস্যুতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সত্যাসত্য বা যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন না তুলেই বলতে চাই, রাজনৈতিক পরিচয়হীন শওকত মাহমুদ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিলেন। সেই শক্তি ফিরে পাবেন কিনা তা দেখার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।

আরেক সাংবাদিক নেতা বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না রেখে শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করাটা কতটুকু অদূরদর্শিতার পরিচয় দেয়া হয়েছে, নিকট ভবিষ্যতে বিএনপি নেতৃত্ব তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করবে।