ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রমজানের প্রথম জুমায় মুসল্লিদের ঢল

স্বজনদের নিয়ে ইফতারে ছিল অনাবিল আনন্দ

স্বজনদের নিয়ে ইফতারে ছিল অনাবিল আনন্দ

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে গতকাল দেশে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজানে সাহ্রি, ইফতার ও প্রতিদিনের কাজেকর্মে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে অনেকটাই ছন্দপতন হয়েছে। শেষ রাতে সাহরি খেয়ে, ফজরের নামাজ পড়ে খানিকটা ঘুমিয়ে থাকার পর দিনের কাজে কর্মে মনোনিবেশ করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

তবে গতকাল রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার হওয়ায় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তাই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি প্রান্তের মসজিদে ছিল মুসল্লিদের ভিড়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জুমার নামাজের আগে থেকে বয়ান শুনতে মসজিদগুলোতে উপস্থিত হন। প্রতিটি

মসজিদে রমজান মাসে ঈমান, আমল ও গুরুত্ব নিয়ে বিশেষ বয়ান করা হয়। মসজিদে নামাজের সারি মসজিদ পেরিয়ে পাশের সড়কে চলে যায়। রমজানে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামতের আশায় নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী পবিত্র জুমার নামাজের গুরুত্ব অনেক। রমজান মাসে রোজাদার মুসলমানরা অধিক সওয়াবের আশায় জুমার নামাজকে আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে আদায় করে থাকেন। তাই সাধারণত রমজানের জুমার জামাতে অন্য সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মুসল্লি অংশ নেন। গতকালও একই ধরনের চিত্র দেখা যায় মসজিদগুলোতে।

রাজধানীর অন্যতম বড় জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। নামাজ শেষে মোনাজাতে মুসল্লিরা নিজের এবং দেশের মানুষের কল্যাণ কামনা করেন।

শুধু বায়তুল মোকাররম নয়, রমজানের প্রথম জুমায় রাজধানীর অধিকাংশ মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। কোথাও-কোথাও মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের নামাজের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাইরে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।

বায়তুল মোকাররমে দেখা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সি মানুষ মসজিদে আসা শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেই ভরে উঠে মসজিদের মূল ভবন। ফলে মসজিদের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় কয়েক শতাধিক মুসল্লি বাইরে নামাজ আদায় করেন।

নাজামের শুরুতে জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন খুতবায় রমজানের আমলের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি নামাজের পাশাপাশি যাকাত আদায়ের গুরুত্ব ও কারা যাকাতের প্রথম হকদার তা তুলে ধরেন।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, এই মাস হলো কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাস। এই মাসে কোরআন তেলোয়াতের ফজিলত অনেক বেশি। তাই আমাদের উচিত সহীহ্ভাবে এই মাসে বেশি-বেশি কোরআন তেলোয়াত করা।

জাহান্নামে আগুন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই রমজান সবার কাজে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রমজানের তারাবির গুরুত্ব তুলে ধরে মুফতি বলেন, যারা শারীরিক সমস্যাসহ নানা কারণে কোরআন খতমের তারাবি পড়তে পারেন না, তারা সূরা তারাবি পড়বেন। কিন্তু নামাজ বাদ দেবেন না।

এদিকে গতকাল সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় কর্মজীবিদের অফিসে যাওয়ার তাড়া ছিলনা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাই তারা একসাথে ইফতার করেন। এর মধ্য দিয়ে তারা অনাবিল আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। তবে ভ্রাম্যমান মানুষ রাস্তার পাশের হোটেল কিংবা ফুটপাতে বসে ইফতার করেন। এছাড়া অধিকাংশ মসজিদেই এলাকাবাসী ও পথচারীদের জন্য ইফতারের আয়োজন ছিল। সব মিলিয়ে রজমানের প্রথম দিনে সর্বত্রই পাল্টে যায় স্বাভাবিক দৃশ্যপট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত