ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের মূল্য উত্তাপ ছড়ালেও সহনীয়

অভিমত ক্রেতা বিক্রেতাদের
চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের মূল্য উত্তাপ ছড়ালেও সহনীয়

চট্টগ্রামে প্রথম রমজান থেকে ভোগ্যপণ্যের বাজারে কিছুটা উত্তাপে আতঙ্ক ছড়ায় ক্রেতাদের মাঝে। তবে এখন বাজার পরিস্থিতি সহনীয় রয়েছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, দাম কিছুটা বাড়লেও অন্য বছরের তুলনায় তা কম। এজন্য বাজারে নেতিবাচক প্রভাব এখনই পড়েনি। তবে বাজার মনিটরিং আরো জোরদার হলে দাম বৃদ্ধির শঙ্কা একেবারেই কেটে যাবে।

চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পাইকার আড়ত খাতুনগঞ্জে আগের চেয়ে দাম কিছুটা বেড়েছে। রমজানে মটর ডালের চাহিদা বেশ থাকে। গেল তিন দিন পাইকারিতে ৭৫ টাকায় এবং খুচরায় ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই পণ্যটি। যা তিন আগে পাইকারিতে ৭০ ও খুচরায় ৭৮ টাকায় বিক্রি হয়। দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৪/৫ টাকা। একই সময় মুগডালের পাইকারি দাম ছিল ৭৫ এবং খুচরায় ১১০ টাকায়। সেই ডাল বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ৮০ এবং খুচরায় ৯০ টাকা। মসুর ডাল (মোটা) বর্তমানে পাইকারিতে ৮৮ টাকা এবং খুচরায় ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে মশুর ডাল পাইকারি ও খুচরায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জ ডাল মিল মালিক সমিতির এক কর্মকর্তা বলেন, খাতুনগঞ্জে রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু এবার সেই পরিমাণ বাড়েনি। অনেকটা সহনীয় আছে বলা যায়। খাতুনগঞ্জে এক সপ্তাহ ধরে ডালের দাম বাড়ছে। এর একমাত্র কারণ ডলারের বিনিময় হার ও আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়া। এসব নিয়ন্ত্রণে এলে দামও আরো কমে আসবে। চকবাজারের খুচরা বিক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন, ভালো মানের ডাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কম। পাইকারদের আড়তে মিললেও খুচরা পর্যায়ে কিছুটা সঙ্কট আছে। তবে সঙ্কট তেমন বড় পর্যায়ে যায়নি এখনো। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরো কমতে পারে।

বাজারে গেল তিন দিনের মূল্য পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল বলে জানান অনেক বিক্রেতা। চট্টগ্রামের বাজারে পাইকারিতে চিড়া ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা ও খুচরায় ৫৫ টাকা, আলুবোখারা পাইকারিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৪২০ টাকা ও খুচরায় ২৫ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকা, কিসমিস পাইকারিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩৯০ টাকা ও খুচরায় ২০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা, জিরা পাইকারিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫৯০ টাকা ও খুচরায় ৩০ টাকা বেড়ে ৬৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লবঙ্গ পাইকারিতে ৩০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৩৪০ টাকা ও খুচরায় ৫০ টাকা বেড়ে ১৪২০ টাকা, দারুচিনি পাইকারিতে ২০ টাকা বেড়ে ৪১০ টাকা ও খুচরায়ও ২০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা, এলাচি পাইকারিতে ২৫ টাকা বেড়ে ১৩৮০ টাকা ও খুচরায় ৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৬০০ টাকা, চিনি পাইকারিতে ৩ টাকা বেড়ে ১০৯ টাকা ও খুচরায় ৫ টাকা বেড়ে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমারের আদা পাইকারিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকা ও খুচরায় ৮ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা, রসুন পাইকারিতে ৮ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা ও খুচরায় ১০ টাকা ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামের বাজারে রোজার অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দামও বেড়েছে কিছুটা। বরাবরের মতো ব্যবসায়ীরা এই দাম বৃদ্ধিকেও সহনীয় বলেছেন। খেজুর নিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, জাতভেদে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে খেজুরের। মাবরুম জাতের খেজুর পাইকারিতে ৭২০ টাকা হলেও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, কালমী খেজুর পাইকারিতে ৫০০ টাকা এবং খুচরায় ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের খেজুরের আড়তদারদের থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ভালো মানের খেজুরের মধ্যে মারিয়াম ও মাবরুমে ১৫০-২০০ টাকা, দাবাসে ৩০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে। আবার নাগাল, জাহিদির মতো একটু কম দামের খেজুরে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা দাম বেড়েছে।

ভারত থেকে পেয়াঁজ না আসায় কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত