ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের জনগণকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা

স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের জনগণকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ঢাকায় সংস্থাটির আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

গতকাল এক বার্তায় তিনি বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে: যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ হতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উত্তরণের পাশাপাশি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) চাইতে অপেক্ষাকৃত উন্নত অবস্থান অর্জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) পরিকল্পিত অর্জনের দোরগোড়ায় উপনীত এই দেশ।

গোয়েন লুইস বলেন, অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারসমূহ জাতিসংঘ পুরোপুরি সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে জোরাল ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক মূল্যবোধগুলোকে গুরুত্ব প্রদান করে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার পূর্বেই প্রণীত এদেশের সংবিধানে জনগণের যেসব মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে, সেগুলো হলো: বাকস্বাধীনতার অধিকার, ধর্মচর্চার অধিকার, চলাফেরা ও সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার, নিজভাষায় কথা বলার অধিকার এবং জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যান্য অধিকার। এদেশের অর্জনের কথা তুলে ধরে জাতিসংঘের এই সমন্বয়কারী বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে নানাবিধ অর্জন: অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অত্যন্ত সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থান এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত জানানো ও আশ্রয় দানের সুবিশাল উদারতা।

গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অতিথিপরায়ণতা হলো এ দেশের বহুমুখী সমৃদ্ধির কেবল একটি দিক, যে ব্যাপারে প্রতিদিন অভিজ্ঞতা লাভ করতে পেরে আমি ও আমার সহকর্মীগণ নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি। আপনাদের সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত