ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রমজানে প্রথম কর্মদিবস

তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

টানা তিন দিন সরকারি ছুটির পর গতকাল থেকে খুলেছে সরকারি অফিস-আদালত। পবিত্র রমজান শুরুর পর গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই রাজধানীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়তে থাকে। দুপুরের দিকে গাড়ির চাপ কিছুটা কমতে শুরু করলে যানজট কেটে যায়। তবে, দুপুরের পর বিকালের দিকে অফিস বন্ধ হওয়ায় ঘরে ফিরতে শুরু করে অফিসগামী মানুষ। এতে করে রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গুলশান অতিক্রম করে মহাখালী পর্যন্তও থেমে থেমে চলতে থাকে গাড়ি। বনানী থেকে গুলশান-২ এর দিকে গাড়ির চাপ কম থাকলেও নতুন বাজার থেকে গুলশান-২ ও গুলশান-১ থেকে গুলশান-২ এর দিকে বেশ যানজট চোখে পড়ে। বনানী হয়ে কাকলী প্রধান সড়কে প্রবেশেও বেশ যানজটের সৃষ্টি হয়। আবার কাকলী ইউটার্নের আগে ও পরে থেমে থেমে এগোতে থাকে যানবাহন। মহাখালী রেলক্রসিংয়ে তীব্র যানজটের কবলে পড়ে নগরবাসী। রমজানেও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছুটে থাকেন অভিভাবকরা। অফিসগামী ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সকাল থেকেই হাজারো শিক্ষার্থী-শিক্ষকের যাতায়াত শুরু হয়। বাড়তি মানুষের চলাচল রাজধানীর সড়কের যানজটে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।

যাত্রীরা জানান, টানা তিন দিনের ছুটির পর গতকাল প্রথম দিন অফিসে যেতে এবং বাড়ি ফিরতে তীব্র যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয়। রোজার একটা মাস হয়তো এভাবে কষ্ট করে অফিসে যাওয়া-আসা করতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলেন, গত তিন দিনে খুব ভালোভাবে ডিউটি করেছি। তবে, সকাল থেকে রাস্তায় যানজট লেগে আছে। দুপুরের পর গাড়ির চাপ যেমন বেড়েছে, বেড়েছে মানুষের সংখ্যাও।

যাত্রীরা রাস্তায় এসে রাস্তা একদম বন্ধ দেখে পরিবহণে না উঠে হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়। ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, অন্যদিনের তুলনায় গাড়ির চাপ একটু বেশি। তিনদিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীতে সব অফিস খুলেছে। এছাড়া রমজানের কারণে অফিস টাইম একটু পরিবর্তন হয়েছে। সবমিলিয়ে একসঙ্গে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাই এ যানজট।

ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, রমজান মাস এলেই ঢাকা শহরে যানজট বেড়ে যায়। যানজট নিরসনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশসহ থানা পুলিশের সদস্যরাও সড়কে বাড়তি ডিউটি করেন। কিন্তু সড়কের দুই পাশ দিয়ে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাথ দখলসহ যত্রতত্র গাড়ি চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা শহরের যানজট নিরসন পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা যারা সড়কে চলাচল করি এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত