নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকারের জন্য মানুষকে একত্রিত করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ দিয়েছেন। একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যেখানে স্বাধীনতার সুখ থাকবে এবং স্বাধীনতার সুখ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গববন্ধু সাড়ে ৩ বছরে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে দরিদ্র রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তীর্ণ করেন। তখনি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর মতিঝিলের বিআইডব্লিউটিএ অফিসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এমপি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, নাট্যকার ও অভিনেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আলম এবং বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছি তখন আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো বির্তক চলবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই পাকিস্তানিরা তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। এই জায়গাটায় যারা বির্তক করতে চায় তাদের সঙ্গে কোনো আপস নাই।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আপামর বাঙালি জাতি বেনিফিসিয়ারি হয়েছিল। আর পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বেনিফিসিয়ারি হয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধি, রাজাকার আলবদর-আলশামসরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে এসব পরিবারের জাতীয় পর্যায়ে আসার কোনো সুযোগ ছিল না। জাতীয় পর্যায়ে আসতেন মুক্তিযোদ্ধারা; মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা। মুক্তিযোদ্ধাদের পেছনে ফেলে রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া। সেই জায়গায় বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে যাবে না।
