নারীর মৃত্যু ও যুবককে হত্যা

প্রতিবেদন চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

গত রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘র‍্যাবের হেফাজতে নারীর মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের’ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদন মতে- ‘নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র‍্যাবের হেফাজতে নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। কমিশন মনে করে, হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা একটি মারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জনাব এফএম শামীম আহাম্মদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, ‘র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নারী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান’। কমিশন মনে করে, এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অনভিপ্রেত। তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না এবং কীভাবে মৃত ব্যক্তির মাথায় আঘাত লেগেছে তা তার জানার কথাও নয়। র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত ব্যক্তির পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা কমিশনের নিকট অস্বাভাবিক মর্মে প্রতীয়মান। এ অবস্থায়, হেফাজতে মৃত্যু সংক্রান্ত বর্ণিত অভিযোগের বিষয়টি র‍্যাব বাদে পুলিশের অন্য কোনো ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। গত ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে গণমাধ্যমে ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল চত্বরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, রাজধানীর শিশু হাসপাতাল চত্বরে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম এর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, তারা জানতে পেরেছেন যে হাসপাতাল থেকে একটি সাইকেল চুরির সময় উপস্থিত জনতা ওই লোককে মারধর করে। নিহত মামুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের মতো জায়গায় চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্তপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকাকে বলা হয়েছে।