ঈদের আগে-পরে সাত দিন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ঈদে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ স্বাভাবিক রাখতে ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতিত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতের বেলায় স্পিডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে পাঁচ দিন এবং ঈদের পরের পাঁচ দিন দিন এবং রাত সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।

গতকাল নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জানানো হয়, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া মাঝিরকান্দি রুটে মোটরসাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে। এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে; কালবৈশাখির ঝড় হওয়ার শংকা থাকে। সে সময়ে সবাইকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নৌপুলিশ আরো সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী উঠানামা করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে। নদী বন্দরগুলোতে যাত্রিসেবার জন্য যেসব ওয়াশরুমের সুবিধা আছে সেগুলোর সংখ্যা ও সেবার মান বাড়াতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিণা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রী পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য নৌপরিবহণ অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রি সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি দেয়ার জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদ সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌসেবা নিতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক। পদ্মা সেতু আমাদের অনুভূতির জায়গাটা দখল করে নিয়েছে। অনেকে মনে করেছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নৌপথে আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌ সেবা নিতে পারে সেলক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পুলিশ, নৌপুলিশ, আবহাওয়া বিভাগ, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, সংশ্লিষ্ট সড়ক ও নৌপরিবহণ মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সরাসরি ও জুমে উপস্থিত ছিলেন।