আট বিভাগে হচ্ছে এনডিডি ব্যক্তিদের জন্য স্থায়ী নিবাস

জানালেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য স্থায়ী আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের আট বিভাগীয় শহরে আটটি আবাসন ও পুর্নবাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকলাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে দেশের সম্পদ তা বর্তমান সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। আগে প্রতিবন্ধিতা মানে অভিশাপ মনে করা হতো। বর্তমানে দেশে শনাক্তকৃত প্রতিবন্ধীর সংখা প্রায় ৩০ লাখ। এসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির শতভাগ ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ও অন্যান্য নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য থেরাপি সেবা, বিশেষ শিক্ষা, মাতা-পিতা ও কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, নিউরো-ডেভেলমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, আবাসন ও পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আট বিভাগে আটটি আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা দেন। এনডিডি ব্যক্তিরা যেন উন্নত ও নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে কেন্দ্রসমূহ হবে আধুনিক প্রযুক্তিগত সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ওয়ানস্টপ সেন্টার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের কোনো অংশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অটিজম নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি রাশেদ খান মেনন বলেন, এনডিডি নিয়ে ২০১৩ সালে আইন প্রণয়ণের পর থেকে এ ধরনের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে। সরকারের নানামুখি উদ্যোগের কারণে তারা সমাজের মূল স্রোতে এসেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে পরিচালিত কর্মসূচি আরো বেগবান করতে হবে।

পরে মন্ত্রী অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় ১০ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

সবশেষে অটিজম বিশিষ্টসম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।