ঢাকা ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উৎপাদন বজায় রাখতে সারের দাম বাড়বে না, সংকটও হবে না: কৃষিমন্ত্রী

উৎপাদন বজায় রাখতে সারের দাম বাড়বে না, সংকটও হবে না: কৃষিমন্ত্রী

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বজায় রাখতে সারের দাম বাড়ানো হবে না। কোনো সংকটও হবে না। গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএডিসি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বিসিআইসি চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে সারের কোনো সংকট হয়নি। সারের সংকটের কথা মানুষ ভুলে গেছে। সার নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো রকম শঙ্কা নেই। অথচ বিএনপির আমলে কৃষক সার পায়নি। সারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল। ১৯ জন কৃষককে প্রাণ দিতে হয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আমরা সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেব না। সার নিয়ে যাতে কোনো কৃষককে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি। অর্থ মন্ত্রণালয় বারবার আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে, সারের দাম বাড়ান, আমরা অর্থ জোগাড় করতে পারছি না, আমরা অর্থ আপনাদের দিতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী অনড়- কিছুতেই তিনি সারের দাম বাড়াবেন না।

মন্ত্রী বলেন, আমি বলতে চাই, এ বছরও সারের দাম বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। সারের দাম বাড়ানো হবে না।

স্থানীয়ভাবে সার উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন বিসিআইসির (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন) সার কারখানাগুলোর যে সক্ষমতা আছে, যদি গ্যাস সরবরাহ করা যায় তাহলে খুব কম পরিমাণ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। হয়তো করতে হবেই না- আমরা এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি।

চলতি অর্থবছরে সারে ভর্তুকি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বছর শেষ হওয়ার আগে তা বলা যাচ্ছে না। তবে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে, আরো ১১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার অপেক্ষায়। বছরে শেষে বলা যাবে আসলে কত টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ১৬ লাখ টন ডিএপি, সাড়ে ৭ লাখ টন টিএসপি, ৯ লাখ টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এনপিকেএস, সাড়ে ৫ লাখ টন জিপসাম, এক লাখ ৪০ হাজার টন জিংক সালফেট, ২ হাজার ৫০০ টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেশিয়াম সালফেট এবং ৫০ হাজার টন বোরন প্রয়োজন হবে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত