উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রকীবুল হক

উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর উচ্চশিক্ষা নিয়ে বেশ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়তে হয় দেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ার কারণে আর্থিক খরচের চাপের পাশাপাশি দুর্ভোগের শেষ থাকে না তাদের। আর এসব ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে দীর্ঘ একটা সময়ের সেশন জট নিয়েই শুরু করতে হয় অনার্সের ক্লাস। তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে একদিকে শিক্ষার্থীদের অনেকে কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান না, অন্যদিকে সমন্বয়হীনতার কারণে প্রতি বছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক আসন শূন্যও থেকে যায়। অবশ্য এসব জটিলতা কাটাতে আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক খরচ ও ভোগান্তি দূর হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

তবে নতুন এ পদ্ধতি চালুর আগে চলতি সেশনের ভর্তি কার্যক্রমে বরাবরের মতোই দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাছাড়া নতুন পদ্ধতির সুফল যাতে যথাযথভাবে শিক্ষার্থীরা পেতে পারে সেজন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র মতে, বর্তমানে সারা দেশে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১১৪টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৮৮০টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাদ্রাসা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি বড় সরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডিগ্রি পাস কোর্স রয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষায় ১৩ লাখের মতো আসন আছে।

অন্যদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে ৯টি সাধারণ এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন পাস করেছেন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ এইচএসসিতে পাসের সংখ্যার চেয়ে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্সে ভর্তিযোগ্য আসন সংখ্যা প্রায় তিন লাখ বেশি। অনেকে আবার বিদেশেও পাড়ি জমান উচ্চ শিক্ষার জন্য। তাই সার্বিকভাবে দেশে উচ্চ শিক্ষার কোনো আসন সংকট নেই। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজসহ পছন্দের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে আসনের চেয়ে ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় ব্যাপক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। তাই একদিকে কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে উদ্বেগ অন্যদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যাালয়ে ভিন্ন ভর্তি পদ্ধতির কারণে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় শিক্ষার্থীদের।

সূত্র মতে, বর্তমানে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আলাদাভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয়। তবে ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে, তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট) আরেকটি গুচ্ছে এবং কৃষি ও কৃষিশিক্ষা প্রধান সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় অপর একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, আন্তরিকতার অভাব, নানা সংকট তৈরি করে রাখাসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আজও একটি সুস্থির ভর্তিব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি সংশ্লিষ্ট মহলের বলে অভিযোগ। এজন্য ভর্তি নিয়ে এখনো এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দীর্ঘ বছরের চেষ্টায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে এখনো সংকটগুলো কাটেনি। নানা জটিলতার কারণে এখানে ভর্তির কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও রয়ে গেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির আহবান সত্ত্বেও তারা নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে।

সূত্র মতে, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সভাপতি করা হয়েছে। গতকাল অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে জবিতে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকছেন ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার এবং সব ডিন। ইউনিটভিত্তিক কমিটিতে আছেন একজন ডিন ও বিভাগগুলোর চেয়ারম্যান।

এই ইস্যুতে সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও পরে উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন ও সিন্ডিকেটের আহ্বান জানায় শিক্ষক সমিতি।

এসময় শিক্ষক নেতারা বলেন, গুচ্ছ এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোনো গবেষণা ছাড়াই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ চাপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে গুচ্ছে অংশগ্রহণের ফলে আমাদের যে সেশনজট তৈরি হয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ওই দিন বলেন, আগামীকাল সিন্ডিকেট আহ্বান করা হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট সভায় সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

অবশ্য এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেছিলেন, আগামী বছর থেকে একক ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর মন্তব্য করা যাবে। এ পরিস্থিতিতে এক বছরের জন্য গুচ্ছ ছেড়ে দিলে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আর ইউজিসির সচিব ড. ফৌরদৌস জামান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেছেন, আশা করি (জবি, ইবি) বিশ্ববিদ্যালয় দুটি গুচ্ছেই থাকবে।

একক ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ : এদিকে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই আগামী বছর থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘একক’ ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। নতুন এই নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য ‘ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ)’ নামে পৃথক একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একক ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে গত ৩ এপ্রিল ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।

সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পরে একক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সূচি প্রকাশ করা হবে এবং উচ্চশিক্ষার সব ক্ষেত্রে একই সময়ে ক্লাস শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

একক ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বার্থে একক ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সমন্বিত মানে একটি পরীক্ষা নয়, বছরে হয়তো দুবার হবে। কীভাবে হবে, কী করে হবে, কী পদ্ধতিতে হবে, তা ঠিক করার বিষয় রয়েছে। এটি নতুন করে উদ্ভাবনের বিষয় নয়, এটি পৃথিবীতে ভালোভাবেই চলছে। সেগুলো দেখে সবচেয়ে বেশি উপযোগী ও ব্যয় সাশ্রয়ী বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন।

সভায় একক ভর্তি পরীক্ষার জন্য একটি কাঠামো, জাতীয় পর্যায়ে একটি নীতিমালা তৈরি ও পরীক্ষার মাধ্যমে একটি স্কোর দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সভায় কমিশনের ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করলে এক মাসের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব। অবশ্য সভায় পরীক্ষার পদ্ধতি ঠিক হয়নি। একক ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি ঠিক করার বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করবেন। নতুন এ পদ্ধতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মাঝে তাই ভোগান্তি মুক্তির নতুন করে আশা জেগেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তির আবেদন শুরু : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম

বর্ষে ভর্তির আবেদন বুধবার শুরু হয়েছে। অনলাইনে এ আবেদন, চলবে আগামী ৮ মে রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস ১ জুন শুরু হবে।

গুচ্ছে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২০ মে : গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ মে থেকে। ওই দিন বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৭ মে মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের এবং ৩ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর এ পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে ১৫ এপ্রিল থেকে, যা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সূত্রমতে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পর ৮ জুনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে। ১০ আগস্ট থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ মে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিট, ৩০ মে ‘এ’ (মানবিক) ইউনিট এবং ৩১ মে ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চারটি গ্রুপে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৫ মার্চ রাত ১২টা থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু হয়। ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করেন ২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্য থেকে এইচএসএসি/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিটে সর্বোচ্ছ ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু এবং বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

সাত কলেজে ভর্তি পরীক্ষা ১৬ জুন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকের ভর্তিতে আবেদন শুরু হয়েছে গত ৩ এপ্রিল। চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সরকারি সাত কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬ জুন শুরু হবে। ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি সাত কলেজের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬ জুন, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জুন এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এই তিন ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা ও তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জুন, আবেদন শুরু ১০ মে : আগামী ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট-রুয়েট-কুয়েট) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। শিগগিরই ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরপর ১০ মে থেকে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া। বুধবার প্রকৌশল গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও প্রকৌশল গুচ্ছে চুয়েটের প্রতিনিধিত্ব করা অধ্যাপক ড মইনুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। প্রকৌশল গুচ্ছভুক্ত তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো-রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। গত বছর পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল কুয়েট। এর আগে চুয়েট দায়িত্ব পালন করে। এবারই প্রথমবারের মতো রুয়েট ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবে।