ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিতে অনমনীয় অবস্থানে যেতে হবে

আলোচনায় মতামত
অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিতে অনমনীয় অবস্থানে যেতে হবে

জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বঙ্গবাজারের মতো মার্কেটগুলোর অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে অনমনীয় অবস্থানে যেতে হবে বলে মত দিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। গতকাল শনিবার অনলাইনে আয়োজিত ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড এবং উপ-আনুষ্ঠানিক মার্কেটের অগ্নিঝুঁকি : আইপিডির পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ মত দেন। বক্তারা বলেন, রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের বিশালতা ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন নগর এলাকার সেমিফর্মাল তথা উপানুষ্ঠানিক মার্কেটসমূহের অগ্নিঝুঁকিসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এজন্য বিদ্যমান অগ্নি নির্বাপণ আইন, বিল্ডিং কোড ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক মার্কেটসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও মার্কেটসমূহের ডিজাইন স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন করা জরুরি। একইসঙ্গে অগ্নিঝুঁকিতে থাকা বিপণি বিতানসমূহের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ নির্দেশনার পাশাপাশি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা দরকার। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটসমূহকে যথাযথ নোটিশ দেয়ার পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপণ আইন অনুসারে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সংস্থাসমূহকে আইন ও বিধি ধারা নির্ধারিত ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড.আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র নোটিশ দিয়েই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ তথা সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস দায়মুক্ত হয়েছে। জনগণের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মার্কেটের স্বত্বাধিকারী হিসেবে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব ছিল মার্কেটের অগ্নি নিরাপত্তার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা এবং উদাসীনতারও দায় আছে, যা দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ীরা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরশনের পক্ষ থেকে ২০১৭ সাল থেকে ১০ বার নোটিশ দেওয়ার পরও এই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের নগর ব্যবস্থাপনা ও আইনের শাসনের ভঙ্গুর ও ক্ষয়িষ্ণু বাস্তবতার পরিচয় বহন করে। এই অবস্থার লাগাম টানা না গেলে আগামী দিনগুলোতে নগর এলাকার মার্কেট-বিপণী-বিতান কিংবা বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড সহ এই ধরনের বিপর্যয় আরো বাড়তে থাকবে। আইপিডি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশের উপানুষ্ঠানিক মার্কেটের বিশদ জরিপের মাধ্যমে ফায়ার কোড ও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অগ্নিঝুঁকি নিরসনে করণীয়সমূহ সুনির্দিষ্ট করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মার্কেটসমূহ অগ্নি সুরক্ষার জন্য তদনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে না পারলে আইন ও বিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত