ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই

সিটিটিসির হাতে গ্রেপ্তার সমন্বয়ক-আশ্রয়দাতা

সিটিটিসির হাতে গ্রেপ্তার সমন্বয়ক-আশ্রয়দাতা

অবশেষে ঢাকার আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক ও তার আশ্রয়দাতাকে গ্র্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর তাদের গ্র্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। তাদের মধ্যে একজন জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক ফাতিমা তাসনীম শিখা বলে জানা গেছে। তিনি জেল পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের স্ত্রী। এসময় তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তারকেও গ্র্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পরে দুজনকে আদালতে তুলে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসি পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী ফাতিমা তাসনীম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনাকে গ্র্রেপ্তার করা হয়।

গত ২০ নভেম্বর দুপুরে পুলিশের ওপর পিপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় আসামি আরাফাত ও সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া পলাতক দুই আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে। তাদের ধরতে রাজধানীসহ সারাদেশে অভিযান চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞানামা আসামি করা হয় আরও ৭ থেকে ৮ জনকে।

সিটিটিসি প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের স্ত্রী শিখা ও তার আশ্রয়দাতাকে গ্র্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নিয়ে পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

কী ঘটেছিল সে দিন?

২০ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে একটি মামলায় শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতখানায় নেয়ার পথে দুই জঙ্গির সহযোগীরা দায়িত্বরত পুলিশের চোখে স্প্রে ছিটিয়ে, কিল-ঘুষি মেরে আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা একটি লাল রঙের মোটরসাইকেলে রায়সাহেব বাজার মোড়ের দিকে পালিয়ে যায়। তবে পালাতে ব্যর্থ হয় দুজন। ওই দুই জঙ্গি হলেন মো. আরাফাত ও মো. সবুজ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করে হাজতখানায় নেয়ার সময় চারজনের মধ্যে দুজনকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, আসামিদের ছিনিয়ে নিতে আসা একজনের কাছে স্প্রে ছিল। স্প্রে ছিটানোর সময় চিৎকার শোনা যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত