ঈদে বাড়তি আয়ের আশা

রাজধানীতে বেড়েছে ‘স্বভাবী’ ভিক্ষুক

ভিক্ষুক সংগ্রহে সক্রিয় সিন্ডিকেট

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এএইচএম ফারুক

বেশ কয়েক বছর ঈদকে ঘিরে রমজান মাসে রাজধানীতে বেড়েছে মৌসুমি ভিক্ষুকের সংখ্যা। এবারও ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক রাজধানীতে এসেছে বলে জানা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য নগরীতে আসা লোকের সংখ্যা বাড়ছেই। তবে এদের মধ্যে ‘ স্বভাবী’ ভিক্ষুকের সংখ্যাই বেশি। তারা মূলত ভিক্ষাবৃত্তিকে আয়ের একটা মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। তথ্য রয়েছে ঈদ ঘিরে ভিক্ষুক সংগ্রহে সক্রিয় হয়েছে সিন্ডিকেটও।

ঢাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করেন এমন কয়েকজন জানান, ঈদকে সামনে রেখে একটি সিন্ডিকেট দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বল্প আয়ের মানুষের মাধ্যমে তাদের আত্মীয় ও পরিচিতদেরকে খণ্ডকালীন ভিক্ষাবৃত্তির জন্য ভাড়ায় ঢাকায় নিয়ে আসেন। এছাড়াও রমজান এলে রাজধানীতে থাকা বিভিন্ন স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের আত্মীয়দের নিয়ে আসেন ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। অনেকে রমজানের একমাসের জন্য বাসা ভাড়া নিয়ে বা আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসে রাজধানীতে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে দেন। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বেশিরভাগ ভিক্ষুকের লক্ষ্য থাকে অভিজাত এলাকা এবং এর আশপাশের ট্রাফিক সিগন্যালে ভিক্ষা করা। এছাড়া স্থানীয় ছোট বড় মার্কেট ও মসজিদের সামনেও তারা নিয়মিত ভিড় করেন।

সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তির নামে দিনে হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে। গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। একদিকে যেমন ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি ভিক্ষাবৃত্তি ঘিরে গড়ে উঠছে এক ধরনের সিন্ডিকেট। রমজান ও ঈদ ঘিরে সক্রিয় সিন্ডিকেট আরও কয়েকগুণ ভিক্ষুক নামায় রাজধানীর অলিগলি ও অভিজাত এলাকায়। অভিজাত এলাকাগুলোতে রাস্তার পাশে ভিক্ষুক নিষিদ্ধের সাইনবোর্ড থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বারিধারায় এমন একটি সাইনবোর্ডের নিচেই থালা হাতে ভিক্ষায় বসেছে এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। তার পাশেই দাঁড়ানো আরেকজন ভিক্ষুক। কিন্তু ছবি তুলতে দেখলে প্রতিবন্ধী হলেও সতর্ক হয়ে স্থান পরিবর্তন করে নেয়। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে রিকশায় তুলে নেয় আরেকজন। কথা বলে তার কাছে জানা গেল, সাত হাজার টাকায় ভাড়া থাকে বাড্ডায়। সেখান থেকে গুলশান-বারিধারায় ভিক্ষার নির্দিষ্ট স্পটে যেতে প্রতিদিন খরচ হয় ১৪০ টাকা। সবমিলিয়ে মাসে তার খরচ হয় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। এই টাকা সে জোগাড় করে ভিক্ষা করেই। গুলশান এলাকায় দেখা মিলল যানজটে আটকা পড়া গাড়ি থেকে ভিক্ষা করছে অনেকেই। ভিক্ষুক নিষিদ্ধ এলাকাতেই যখন এই দশা, তখন রাজধানীর অন্য এলাকার অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়।

এছাড়া আজিমপুর কবরস্থানের সামনে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের আগে জড়ো হয় প্রায় অর্ধশত ভিক্ষুক। যাদের একটা বড় অংশই ভিক্ষা করে সপ্তাহে একদিন। এছাড়াও অনেকেই আছেন, যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কাজ না করে বিভিন্ন অজুহাতে ভিক্ষাকেই অর্থ উপার্জনের উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে। সিন্ডিকেটের বদৌলতে রমজান ও ঈদ ঘিরে সে সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেড়েছে।

এ বিষয়ে মতিঝিল এলাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করা জামাল উদ্দিন (৬০) বলেন, দেশের নানান জায়াগা থেকে ভিক্ষা করতে বহু লোক ঢাকা আসে। বরিশাল, ভোলা, ময়মনসিংহ, নোয়াখালী ও রংপুর এসব এলাকা থেকে বেশি আসে। স্বামী ঢাকায় রিকশা চালায় গ্রাম থেকে রমজানের সময় স্ত্রীকে নিয়ে আসে ভিক্ষা করাতে। এদের ব্যবসাই এটা। নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় বাসায় থাকে তারা। আবার ভিক্ষা করতে একসাথে আসা কয়েকজন মিলেও ঘর ভাড়া নেয় এক মাসের জন্য।

মৌসুমি ভিক্ষুকদের কারণে প্রকৃত অসহায়রা বঞ্চিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই মতিঝিল-গুলিস্তান-পল্টন কেন্দ্রিক কাজ করা মানুষ আমরা। এখন আর ভারী কাজ করতে পারি না, তাই মানুষের কাছে হাত পাতি, দুই-চার টাকা সাহায্য নিয়া চলি। এখন আজান দিচ্ছে তাই এসেছি আবার নামাজ শেষে চলে যাবো। এ জন্য আসি পরিচিত মানুষজন যদি কিছু দেয়, নিয়ে নেই, জোরাজুরি করি না। কিন্তু যারা রমজানের এক মাসের জন্য আসে তারা সারাটা দিন ঘোরে, ফাঁকে ফাঁকে খাবার খাবে, বেশিরভাগই রোজা রাখে না। তারা সামনে পেলে পথাচারীকে ভিক্ষার জন্য বিরক্ত করে। তখন আমরা সামনে গেলে আর কেউ ভিক্ষা দিতে চায় না। ফিরায়া দেয়।

রমজানে মৌসুমি ভিখারিরা দৈনিক ২৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করে জানিয়ে কারওয়ান বাজার-মিরপুর রোডের সিগন্যালে বসা শারীরিক প্রতিবন্ধী রুবিনা (৪৫) বলেন, আমরা দুইটা প্রাইভেট কারের সামনে যাইতে পারলে মৌসুমী ভিক্ষুক যাইতে পারে দশটার সামনে। পরে আমরা গেলে বলে- কয় জনারে ভিক্ষা দিমু। এরা একাই দিনে হাজার দুই-তিন হাজার টাকা কামায়া নিয়া যায়। আমার তো পায়ে সমস্যা। আর যারা নতুন আহে তাগো শরীর-স্বাস্থ্য ভালো, কোলে ছোট বাচ্চা নিয়া ঘোরে। জ্যাম লাগলেই দৌড়াইয়া সব গাড়িতেই যায়।

ধানমন্ডি এলাকার আরেক ভিক্ষুক আলী বলেন, মসজিদগুলাতে রমজান আইলে ভিক্ষার লোক বাড়ে। এরা তো সারা বছর এইখানে থাকে না। শুক্রবার হইলে ওদের জন্য ঠিক মতো কারও কাছে থেইকা সাহায্য নিতে পারি না। রোজাতে মানুষ কম-বেশি দান-খয়রাত করে। কিন্তু চাওয়ার মানুষ বেশি হইলে তখন সবাইরে ভাগ দিয়া সেই সারা বছরই যা পাই তাই। আর এরা তলে দিয়া ফাউ এক মাসের কামাই নিয়া যায়।

তবে প্রয়োজন না হলে রাস্তায় ভিক্ষা করতে নামেন না জানিয়ে মাসখানেক ধরে পান্থপথ-মিরপুর রোডের সিগন্যালে ভিক্ষা করতে আসা আবদুল গণি (৬২) বলেন, রমজানের সময় খরচ বাইরা যায়। তাই মাঝে মাঝে আসি। সব সময় ভিক্ষা করি না।

আকলিমা নামের একজন ভিক্ষুক বলেন, ‘আমি তো ভাঙারি দোকানে কাজ করি। শুক্রবার এট্টু আহি ভিক্ষা করতে। এক-দুই ঘণ্টা ভিক্ষা করি। এট্টু হাতখরচ হয়। আমারে ভিক্ষুক কওন যায় না। যারা হারাদিন ভিক্ষা করে, হ্যারাই ভিক্ষুক।’ ভিক্ষুকদের মধ্যে দেখা গেল, এদের একটা বড় অংশই দেখতে বেশ শক্তপোক্ত। কিন্তু এরপরও কাজে না গিয়ে ভিক্ষার পথে নেমেছে তারা।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, এরকম অনেকেই নাছোড়বান্দা হয়ে ভিক্ষা চাইছে মুসল্লিদের কাছে। এতে মুসল্লিরা বিরক্ত হলেও তারা অনেকটা অসহায়। একজন মুসল্লি বলেন, ‘এরা তো অনেকে কম বয়সি। কাজ করতে পারবে, কিন্তু করবে না। অনেকে আবার বাচ্চাদেরও নিয়ে এসেছে। ভিক্ষার জন্য এরা খুবই জবরদস্তি করে। ভিক্ষা না দিলে অনেক সময় গালাগালও করে। কিন্তু এদেরকে ভিক্ষা দেই না। যারা অসহায় তাদের দেই।

রাজধানীতে ভিক্ষুকের সংখ্যা কত তার পরিসংখ্যান নেই। সত্যিকারের ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্যও এখন আর কোনো উদ্যোগ নেই। এদিকে রাজধানীতে ভিক্ষাবৃত্তি ঠেকাতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, মৌসুমি ভিক্ষাবৃত্তিকে সামনে রেখে সরকারি এই দপ্তরের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভিক্ষুক ও চা শ্রমিক) মো. শাহজাহান বলেন, রাজধানীকে ভিক্ষুকমুক্ত রাখতে প্রতিনিয়তই আমরা মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে থাকি। এবার রমজানে প্রতিদিনই আমাদের এই কার্যক্রম চালু থাকবে। তাছাড়া আমরা ভিক্ষাবৃত্তিতে নিরুৎসাহিত করতে আরও প্রচার-প্রচারণা বাড়াব। গত কয়েকটি বছর ছাড় দেয়া হয়েছিল কিন্তু এবছর রমজানে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ছাড়াও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, দেশে দারিদ্র্য নিরসনে ও ভিক্ষাবৃত্তির মতো অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ২০১০ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নেয়। মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, কর্মসূচি শুরুর সময় থেকে বর্তমান সাল পর্যন্ত ৪২৬৪.৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে এবং এই কর্মসূচি থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৭০৭ জন লোক উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথম বারের মতো দেশের ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের নিমিত্তে অর্থ প্রেরণ করা হয়।

ঢাকা শহরে ভিক্ষাবৃত্তি রোধের জন্য প্রাথমিকভাবে সিটি করপোরেশন শহরের কিছু এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেছে। এলাকাগুলো হচ্ছে- বিমান বন্দরে প্রবেশ পথের পূর্ব পাশের চৌরাস্তা, বিমান বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ও এর আশপাশের এলাকা, হোটেল রেডিসন সংলগ্ন এলাকা, ভিআইপি রোড, বেইলি রোড, হোটেল সোনারগাঁও ও হোটেল রূপসী বাংলা সংলগ্ন এলাকা, রবীন্দ্র সরণি এবং কূটনৈতিক জোনগুলো। ঢাকার ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকাগুলো ভিক্ষুকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড মেরামত/নতুন স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে বলে সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। এছাড়াও ঢাকা শহরের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আটক ভিক্ষুকদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নিমিত্তে ৫টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৬টি টিনশেড ডরমিটরি ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানায় সমাজসেবা মন্ত্রণালয় সূত্র।

খোদ সমাজসেবা অধিদপ্তরও মনে করে, ঢাকায় ভিক্ষাবৃত্তি ঘিরে এক ধরনের ব্যবসা তৈরি হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশেই ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূলে এখন বিশদ প্ল্যান নিয়ে এগোতে চায় সংস্থাটি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, আগে রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৫০ হাজার ভিক্ষুক ছিল। গত কয়েক বছরে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানীর ভিক্ষুকদের মধ্যে তুলনামূলকহারে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। নারী বা শিশুদের বাধ্যতামূলকভাবে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সম্প্রতি ডিএমপি’র মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা ইউনিটগুলোকে তিনি এই নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএমপি’র একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমপি অধ্যাদেশের ৮১ ধারায় ভিক্ষাবৃত্তিকে দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ডিএমপি’র অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যদি কেউ সড়কে বা অথবা উন্মুক্ত স্থানে শরীরের ক্ষত বা অঙ্গহানির অবস্থা দেখিয়ে টাকা নেয় তাহলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। তবে মানবিক কারণে ভিক্ষুকদের বেলায় এই ধারা প্রয়োগ করা হয় না বললেই চলে।

তবে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী ভিক্ষাবৃত্তির নেপথ্যে থাকা সিন্ডিকেটের সদস্যদের ধরতে নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তারকে বলেন, ‘রাস্তায় ভিক্ষুক বা ভিক্ষুক সিন্ডিকেটকে প্রতিরোধের জন্য আলাদা সংস্থা রয়েছে। তারা যদি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সিন্ডিকেটের বিষয়ে প্রতিবেদন দেয় তাহলে অভিযান চালিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা যেতে পারে। এছাড়া অঙ্গহানি করে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে এরকম সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা অন্যান্য বড় বড় অপরাধ দমনে কাজ করার পাশাপাশি সব অপরাধীকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি করি।