ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ড. কামালকে আমন্ত্রণ জানালে সংসদ প্রাণবন্ত হতো : মোকাব্বির

ড. কামালকে আমন্ত্রণ জানালে সংসদ প্রাণবন্ত হতো : মোকাব্বির

জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুবর্ণ জয়ন্তীর এ সংসদ অধিবেশনে গত ৭ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে আমন্ত্রণ না জানানোর জন্য সরকারের প্রতি কিছু উষ্মা প্রকাশ করেছেন গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খান। তিনি বলেন, ড. কামাল ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠসহচর, গণপরিষদের সদস্য, তৎকালীন মন্ত্রী। যাকে বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা কমিটির চেয়ারম্যান করেন। অতি অল্প সময়ে তিনি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন। কিন্তু আজ সেই জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তীতে গণপরিষদের সদস্য তিনিসহ অন্যান্য যারা আছেন তাদের যদি আমন্ত্রণ জানানো হতো, উপস্থিত রাখা যেত, তাদের যদি স্মৃতিচারণের সুযোগ দেয়া হতো তাহলে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত, সফল সুন্দর হতো বলে আমি মনে করি। কেননা ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল ড. কামাল হোসেন প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই সংসদের পদযাত্রা শুর হয়। এ সময় তিনি বিভিন্ন সরকারের আমলে মহান সংবিধান কাটা ছেঁড়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেবার সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সভাপতিত্ব করছিলেন।

মোকাব্বির খান ইভিএম থেকে সরে আসায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে জাতির সামনে অঙ্গিকার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসিকে জাতীকে আশ্বস্ত করতে হবে মহান সংবিধানের আলোকে সব রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবকে উপেক্ষা করে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবে। জাতি একটা সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মতো হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটা আছে কি না তা সন্দেহ। কিন্তু দুর্নীতিবাজ লুটেরা, অর্থপাচারকারীদের জন্য আজো এই সংসদে ইনডেমনিটির মতো কালা আইন পাস হয়।

তিনি বলেন, কিছু বিষয়কে আমাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের সংবিধান, সংসদ, জাতীয় সংগীত এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুললে ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি বিশ্বাস ঘাতকতা করা হবে। জাতি হিসেবে আমরা চরমভাবে লজ্জিত হবো। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পরে যেসব সরকার দেশ পরিচালিত করেছে তারা কিন্তু একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারেনি। কখনো হা না ভোট, কখনো আগের রাতে ভোট হয়, ইত্যাদি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত