রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি

আরসা কমান্ডার নিহত: অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার তিন

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরসার আরো তিন সন্ত্রাসীকে। গোলাগুলির ঘটনায় এপিবিএন ৮ ব্যাটালিয়নের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিবিএন এর ৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ। তিনি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী উখিয়ার ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ গোলাগুলি চলে।

এতে নিহত আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়া (৩৪) উখিয়ার ১৩ নম্বর ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত ৪টি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এ সময় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হলেন, ১৯ নম্বর ক্যাম্পের কাশেম আলীর ছেলে মোহাম্মদ তাহের (৪৫), একই ক্যাম্পের মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন (২০) ও সুলিমুল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী (২৫)। এরা তিনজনই আরসা সদস্য বলে জানিয়েছেন এপিবিএন। এপিবিএনের ৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘিরে রাখার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্য অভিযানে যান। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করতে করতে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী পাহাড়ের দিকে পালাতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা থেকে আরসার তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ক্যাম্পের একটি ঘরের রুমে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ প্রকাশ লালাইয়ার লাশ পাওয়া যায়। যেখানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি ছিল।

তিনি জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।