ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ করা হবে আজ

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ করা হবে আজ

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০ আজ বিতরণ করা হবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) এ উপলক্ষ্যে বিকাল ৩টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।

ইপিবি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল জিনস লিমিটেড এবার সেরা রপ্তানিকারক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি পাচ্ছে। রপ্তানিতে অবদান রাখায় ইউনিভার্সেল জিনসসহ ৭০টি কোম্পানি বিভিন্ন শ্রেণিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রপ্তানি ট্রফির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে।

নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের নাম গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রকাশ করে। এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারির কারণে বৈশ্বিক পর্যায়ে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় কিছুটা কমে যায়। ওই বছর রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, কোভিড মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রপ্তানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সকলের সম্মিলত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাবে, এমন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করে বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে রপ্তানিকারকদের নিরলস পরিশ্রম আর আন্তরিক প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। একই সাথে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি খাতের অবদান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃতী রপ্তানিকারকদের ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ প্রদান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রপ্তানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন বাজার বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি, সেবাখাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি, বেসরকারি খাতকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য সামস্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রপ্তানি বাণিজ্যের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে সব প্রতিষ্ঠান উলে¬খযোগ্য সফলতা দেখিয়ে অধিক পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন, তাদের স্বীকৃতি প্রদান করার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করা হলে, নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও বাজার সম্প্রসারণে তা সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রেখে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে আসছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত