বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঈদের পর দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
গতকাল সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সম্পাদকমণ্ডলীর ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ ভিডিও কল করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মোবাইলফোনে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কলে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সেখানে উপস্থিত দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রমুখ নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগের এই দুই শীর্ষ নেতাকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে দ্রুত পূর্নাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ মার্চ গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ সময় আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশের পরই দ্রুততার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাজ শুরু করে ছাত্রলীগ। বর্তমানে ওই কমিটি গঠনের কাজ প্রায় গোছানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বয়সসীমা ২৮ বছর নীতিও শিথিল হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্র সংগঠনটির সাংগঠনিক অভিভাবক।
