ঢাকা ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা

মিয়ানমারের নথি জমা দিতে ১০ মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন নাকচ

মিয়ানমারের নথি জমা দিতে ১০ মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন নাকচ

রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) কাগজপত্র ও নথি জমা দেওয়ার জন্য সময় ১০ মাস বাড়ানোর আবেদন করেছিল মিয়ানমার। সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। এর পরিবর্তে দেশটিকে এক মাস সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২৪ এপ্রিল যুক্তি-তর্ক খণ্ডন নথি (কাউন্টার মেমোরিয়াল) জমা দেয়ার তারিখ ছিল মিয়ানমারের। মিয়ানমার এক আবেদনে তারা জানায়, তাদের অর্থনৈতিক সংকট এবং মিয়ানমারের ভাষায় লেখা নথি ইংলিশে অনুবাদ করার জন্য তাদের ১০ মাস সময় দরকার। সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কাউন্টার মেমোরিয়াল জমা দিতে চায় তারা।

মিয়ানমার মার্চে যখন সময় বৃদ্ধির আবেদন করে ওই সময়ে চীনের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পাইলট প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছিল।

কোর্ট এ বিষয়ে মামলার বাদী গাম্বিয়ার মতামত জানতে চাইলে দেশটি এর বিরোধিতা করে জানায়, অনুবাদ করার জন্য অথবা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সময় বৃদ্ধি করার নজির নেই। এছাড়া এর আগে মিয়ানমার নির্দিষ্ট সময়ে তাদের নথি জমা দিয়েছে। এবার সময় বাড়ানো হলে সেটি মিয়ানমারের জন্য সুবিধাজনক হবে না। সবকিছু বিবেচনা করে কোর্ট মিয়ানমারকে এক মাস সময় বাড়িয়ে ২৪ মে তাদের নথি জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

২০১৯ এর নভেম্বরে গাম্বিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। গাম্বিয়ার মামলা করার অধিকার ও যোগ্যতা নিয়ে মিয়ানমার প্রশ্ন উঠালে প্রাথমিক শুনানির পর কোর্ট গাম্বিয়ার পক্ষে রায় দেয়। এরপর গাম্বিয়া ও মিয়ানমার একাধিক সময়ে তাদের নথি জমা দিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক : রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীনের মধ্যস্ততায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে বর্ষার আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর তাগিদ দিয়েছে। একই সঙ্গে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়। রোহিঙ্গাদের যেন পরিবারভিত্তিক পাঠানো হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

২০২১ সাল থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নিজ ভূমিতে পাঠানোর জন্য একটি তালিকার যাচাই-বাছাই চলছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গত মার্চ মাসে মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে। সে সময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া একই সময়ে ১১টি দেশের কূটনীতিকদের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত বিভিন্ন কাঠামো ঘুরিয়ে দেখানো হয়। তাদের মধ্যে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় কুনমিংয়ে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হলো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত