ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যাত্রী সংকটে লঞ্চ মালিকদের মাথায় হাত!

যাত্রী সংকটে লঞ্চ মালিকদের মাথায় হাত!

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির পথে ছুটছেন মানুষ। অন্যান্যবার ঈদের সময় নৌপথে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও এবার তেমনটা নেই। নৌপথে ঢাকা থেকে যাওয়া পথ সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বেশি চাপ থাকার প্রত্যাশা করলেও লঞ্চে তেমন ভিড় নেই। বিশেষ করে ঈদকে কেন্দ্র করে গোটা সদরঘাট এলাকায় যে মানুষের স্রোত দেখতে দেখতে মানুষ অভ্যস্ত তার কিছুই নেই সেখানে। শেষ সময়েও যাত্রী সংকট দেখে লঞ্চ মালিকদের মাথায় হাত পড়ার অবস্থা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা এমন চিত্র দেখা গেছে। লঞ্চগুলোতে আগের মতো ডেকে সিট পেতে আগেভাগে লোকজন এলেও তুলনামূলক কম। অন্যদিকে কেবিনের যাত্রী সংকট যেমন আছে তেমনে যারা কেবিন আগে বুকিং দিয়ে রেখেছেন তাদেরও বারবার ফোনে কনফার্ম করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ, বুকিং করা কেবিনও অনেকে ছেড়ে দিয়ে বাসে যাত্রা করেছেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চের স্টাফরা। বরগুনা, আমতলী, হাতিয়া, চরফ্যাশন রুটের লঞ্চে ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। লঞ্চের মালিক ও স্টাফরা বলেছেন, গত বছর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে কমে আসতে শুরু করেছে লঞ্চের যাত্রী। ধীরে ধীরে এটা বাড়ছে। ফলে ঈদের সময়েও যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা-আমতলী রুটে চলা এমভি ডায়মন্ড-৩ লঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির, ‘যাত্রী নেই তো, কেবিনও ফাঁকা। সব পদ্মা সেতুর প্রভাব। সামনে আরো বাড়বে সংকট এটা পরিষ্কার।’ তবে যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে যেতে চান তাদের লঞ্চে যেতে দেখা গেছে।

বরগুনার উদ্দেশে পরিবার নিয়ে রওনা হওয়া শহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবারে চারজন মানুষ। সঙ্গে বড় ব্যাগ আছে। এসব নিয়ে বাসে যাওয়া কঠিন। ভাড়াও বেশি। তার চেয়ে একটু সময় বেশি লাগলেও লঞ্চে সুন্দরভাবে যাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত