ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদ জামাত

শোলাকিয়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা

শোলাকিয়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা

প্রায় দুইশ বছরের পুরোনো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ। প্রতি বছর কয়েক লাখ মুসল্লি একসঙ্গে এ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ২০১৬ সালে ঈদুল ফিতরের জামাতের আগে ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। প্রবেশপথের নিরাপত্তা চৌকিতে হয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। এতে দুজন পুলিশ কনস্টেবল, একজন গৃহবধূ ও এক জঙ্গি নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কনস্টেবল ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। বিষয়টি মাথায় রেখে এবারও নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ঈদ সামনে রেখে প্রায় পাঁচ মাস আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জঙ্গিরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। ঈদুল ফিতরে তারা সেই সুযোগটি নিতে পারে বলে আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।

ঈদুল ফিতরের ১৯৬তম জামাতের জন্য এখন প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। ২০১৬ সালে জঙ্গি হামলার কলঙ্কজনক অধ্যায় সামনে রেখে নিণ্ডিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় দুইশ বছরের পুরোনো এ ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাতে দেশ-বিদেশের তিন লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

ঈদুল ফিতরের জামাতের প্রস্তুতি নিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা সম্পর্কে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা নিয়ে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় রয়েছে। স্থানীয় হোটেল-মোটেলে অপরিচিত কেউ এসে থাকলে জেলা পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। মুসল্লিরা যখন ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে আসবেন তখন প্রত্যেকের চেকপোস্টের মাধ্যমে মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে সার্চ করে ভেতরে ঢোকানো হবে। এছাড়া যখন মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করবেন তখন আর্চওয়ে গেটের মাধ্যমে প্রবেশ করবেন।

তিনি বলেন, মাঠজুড়ে ড্রোন ক্যামেরা, ওয়াচ-টাওয়ারসহ সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত হবে। গত বছর যে সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিল তার চেয়ে দেড় গুণ বেশি ফোর্স মোতায়েন থাকবে এবার। জেলা পুলিশের সদস্যরা ইউনিফর্ম ও সিভিলে মোতায়েন থাকবেন। এছাড়া জেলা গোয়েন্দা, পুলিশের বিশেষ শাখা, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনায় পুলিশের জঙ্গি প্রতিরোধ ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও পাঁচ প্লাটুন বিজিবি শোলাকিয়ায় মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে।

মোহাম্মদ রাসেল শেখ আরও বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু আনা যাবে না। যে কোনো দাহ্য পদার্থ না আনার জন্য অনুরোধ রইলো। মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে আসার বিষয়ে নিষিদ্ধ করছি না, তবে না আনার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত