ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনি আস্থা অর্জন

নতুন রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রত্যাশা করবে ইসি

নতুন রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রত্যাশা করবে ইসি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ নিবন্ধিত সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেক্ষেত্রে নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পর তিনিও কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারেন- এমনটাই প্রত্যাশা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।

সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে ইসি সংলাপসহ বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো থেকে তেমন কোনো সাড়া পাচ্ছে না। ভোটের আগে দলগুলোকে নিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি সংলাপ অথবা কোনো উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ ভোটের জন্য প্রস্তুত ইসি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে। এর আগে দলগুলোর মধ্যে আস্থা এনে সমঝোতার মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন। বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে গত সোমবার শপথ নেন। তিনি এমন একসময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলেন, যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ বেড়ে চলেছে। এই বিরোধের মূলে রয়েছে নির্বাচনি ব্যবস্থা।

এর আগে মো. সাহাবুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, ভোটকেন্দ্রে জনগণের যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সেই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি তার আহ্বান থাকবে।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলগুলোর বিরোধ মেটাতে কোনো ধরনের আলোচনা বা সংলাপের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখবেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার করণীয় কিছু থাকলে তিনি তা করবেন।

এদিকে বর্তমান ইসির অধীনে স্থানীয় সরকার ও উপনির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়াকে নিজেদের ব্যর্থতা মনে করে না ইসি। ভোটে না আসাকে ‘রাজনৈতিক কৌশল’ মন্তব্য করে গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপি তো কখনো বলেনি বর্তমান ইসির প্রতি আস্থা নেই। সেক্ষেত্রে ইসির কাজের পরীক্ষা নিতে অন্তত ভোটে অংশ নিতে হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর জানান, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা (বিএনপি) বলেছে যে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমাদের বলেনি যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকায় আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না। তারা তো বলেনি কখনো। এটা রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে। বড় দলগুলো তো আসছে। বিএনপি আসেনি এটা তো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। এটা তো আমাদের ব্যর্থতা না। তারা কী বলেছে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ নির্বাচন করেছে, এজন্য আসব না। বিএনপির উদ্দেশে মো. আলমগীর বলেন, এ পর্যন্ত ভালো কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও ভালো কাজ করব। আমাদের আহ্বান সব সময় থাকবে, যে আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের পরীক্ষা নিন। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আমরা যে অকৃতকার্য হলাম কীভাবে আপনারা বুঝলেন। আমরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত সব সময়।

সিটি ভোটের প্রচার শুরু হলেই আচরণবিধি প্রতিপালনে কঠোর হবে ইসি : নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সিটি ভোট নিয়ে বার্তা হলো যারা দোয়া চেয়েছেন তারা অনেকেই প্রার্থীই না। কিসের দোয়া চেয়েছেন, সেটা তো লিখা নেই। যারা নমিনেশন নেবেন এবং জমা দেবেন তারপর বোঝা যাবে।

তিনি জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। সেদিন থেকে অফিসিয়ালি আচরণ বিধি না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তার আগে এখন যেটা করছে আমাদের কর্মকর্তারা সেটা অনেকটা মোটিভেশনাল। আমাদের আইনে আছে যে শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কালচারটা হলো শোডাউনের। একটা কালচার তো একদিনে পরিবর্তন হয় না, শোডাউন করলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে এবং এমনও হতে পারে, শোডাউনের বিষয়টি যদি কোনো প্রচারমাধ্যমে আসে নির্বাচন কমিশনের তো একটা ক্ষমতা আছে।

সিটি নির্বাচন সামনে রেখে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা মাঠে বৈঠক করবেন। এ সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে কর্মকর্মারা মাঠে নেমে যাবেন। এখন মোটিভেশনাল ওয়ার্ক করা হচ্ছে, তখন মাঠে নেমে যাবে।

তিনি জানান, প্রার্থীরা মাঠে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রচার চালাতে পারবেন না।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং হবে। এবার আমরা যেটা চিন্তা করছি, প্রতীক বরাদ্দের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিং করে ফেলব, যাতে প্রার্থীরা আচরণ ভঙ্গ করতে না পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত