ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানুষ বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দেয়নি

বললেন ওবায়দুল কাদের
মানুষ বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দেয়নি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণ বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দেয়নি। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিএনপির যে রাজনীতি, বিএনপি এদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির পৃষ্ঠপোষক। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির তুলনা চলে না। আমরা আমাদের আদর্শে অবিচল, নীতিতে অবিচল ও বাংলাদেশ জন্মের চেতনায় অবিচল। এখান থেকে কোনো শক্তি আমাদের সরাতে পারবে না।

গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগ ও এর অন্তর্গত সব ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময়, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি দেশে-দেশে নালিশ করে, আমাদের করার দরকার নেই। বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে সরে গিয়ে যে ভুল করেছে আজকে তারা তা শুধরাতে চায়। বিশ্বব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছে, আমাদের বাজেট সহায়তা হিসেবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি, কথাবার্তা হচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, ওয়াশিংটন গেছেন নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য। মানুষের কষ্ট লাঘবে, বিশ্ব সংকটে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য নেয়া হচ্ছে। বিএনপির মতো দেশ বিক্রি করে সাহায্য নিচ্ছি না, অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে ওপর ভিত্তি করে নিচ্ছি। সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

তিনি বলেন, তারা এখন ভয় দেখাবে, আগুন নিয়ে আসবে। সতর্ক থাকতে হবে। দেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের প্রতিক্রিয়া প্রভাব ফেলে। শেখ হাসিনার সাফল্য অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়। এ দেশের রাজনীতির ইতিহাস হচ্ছে, যারা আন্দোলনে জেতে তারাই নির্বাচনে জেতে। বিএনপির গণআন্দোলন মানুষ দেখতে পায়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না তাদের আন্দোলনে। একটা কর্মসূচিও হালে পানি পায়নি। বাস্তবে ব্যর্থ গণআন্দোলন নিয়ে পথহারা পথিকের মতো দিশাহারা বিএনপি। তারা জানে, সরকারের উন্নয়ন সমাদৃত বিশ্বে। বিভিন্ন জায়গায় নালিশ করলেও কোথা থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া পায়নি তারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন করতে সংবিধান আছে, সেটিই পথরেখা। অন্য দেশের সুপারিশ বা পরামর্শে কেন নির্বাচন করব? আমরা তো তাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করি না। তাহলে কেন তারা করবে? ইসি স্বাধীন। নির্বাচন করতে দেবেন না, এ দুঃসাহস দেখিয়ে লাভ নেই। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময় নির্বাচন হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডেড ইস্যু, আদালত হিমাগারে পাঠিয়েছে। চালু করা সমীচীন নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যারা নিয়ে আসেন কথায় কথায়, সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন, তারা আজকে দেশে অস্তিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়। কোন গণতন্ত্র তারা চায়, জিয়াউর রহমানের? হ্যাঁ, না ভোটের গণতন্ত্র? প্রহসনমূলক নির্বাচন আমরা বিশ্বাস করি না। দেশ ধ্বংস আপনারা করেছেন। শেখ হাসিনা মেরামত করেছেন। মির্জা ফখরুলের মুখ থেকে মিথ্যা ছাড়া সত্য বের হয় না। পরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়নের মধ্যদিয়ে বৃহত্তর রংপুর বিভাগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত