ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আমন্ত্রিত

প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আমরা গৌরবান্বিত

প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আমরা গৌরবান্বিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা, ন্যায়নিষ্ঠা ও একাগ্রতার কারণে আজ তিনি বিশ্বে নন্দিত ও সমাদ্রিত। বাংলাদেশ এগিয়ে নেয়ার পথে কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাকে টলাতে পারেনি। ‘অসম্ভবকে’ সম্ভব করার জাদু তিনি রপ্ত করেছেন বলেই কোনো সমস্যা, দুর্বিপাক তার অগ্রযাত্রাকে দমন করতে পারে না। আপাত দৃষ্টিতে মানুষ তার এই দৃঢ় মনোভাবকে সহজেই অনুধাবন করতে না পেরে অতীতে অনেক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তার সমালোচনা করেছেন। তার দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে ‘সময়ই’ সব কিছু সমাধান করে দিতে এগিয়ে আসে। বাংলাদেশে যখন বৈশ্বিক মহামারি করোনা আঘাত হানে, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন এ দেশের মানুষকে হয়তো আর বাঁচানো যাবে না। সর্বাধুনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে অগ্রগামী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে যখন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিল, তখন আমাদের দেশের একটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা বলেছিলেন, চিকিৎসার অভাবে এদেশের মানুষ রাস্তায় পড়ে মরে থাকবে। কিন্তু সেই কথার কোনো প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায়নি। মানুষ করোনায় মারা গেছে, তবে সেটা সরকারের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। করোনা চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের সব পর্যায়ের হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ছাড়াও সহায়ক কর্মীদের নিয়োজিত করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়। করোনা চিকিৎসার কাজে নিয়োজিতদের জন্য বিশেষ অনুদানের ব্যবস্থা করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার শিকার হয়ে যারা বেকার হয়ে পড়েন, প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ দেন। বন্ধ কল-কারখানা চালু করার জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করেন। সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় করোনার তিন ডোজ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। স্পর্শকাতর ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য বুস্টার টিকারও ব্যবস্থা করেন। করোনার অভিঘাত থেকে দেশের উদীয়মান অর্থনীতিকে রক্ষা করতে নগদ অর্থ প্রবাহের ব্যবস্থা নেন। বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস বন্ধ, জঙ্গিবাদ দমন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় ও আগুনের মতো কঠিন পরিস্থিতি তিনি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেন। সে কারণেই বাংলাদেশে আজ একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি বিরাজ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করার পর এদেশের মানুষ কম দুর্যোগ-দুর্বিপাকে পড়েনি।

বাংলাদেশ এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে। সাধকে সাধ্যে পরিণত করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন। প্রচণ্ড খরস্রোতা পদ্মা নদী শাসন করে সেখানে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বিশাল সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখে পড়েন। অদম্য আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থের সংস্থানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। তার প্রতাশা ছিল, বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতো ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে। বিশ্ব ব্যাংক এগিয়েও আসল। বাংলাদেশকে ঋন দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেল। অথচ বাদ সাধল একটি মহল। দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে অনুমেয় যে, বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সহধর্মিণীর ব্যক্তিগত বন্ধু হওয়ার কারণে তার হস্তক্ষেপে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ টাকা না দেয়ার জন্য অজুহাত খুঁজতে থাকে।

কানাডার একটি প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায়। তখনই অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়- বাংলাদেশের যোগাযোগমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা এবং একজন সচিব অর্থের বিনিময়ে কানাডার ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে ঘুষ গ্রহণ করেন। ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ হিসেবে তারা একটি ডায়রির পাতায় কয়েকটি অক্ষরের সন্ধান পায়। সেই অক্ষরের সঙ্গে নামের কাল্পনিক যোগসূত্র স্থাপন করে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে। বাংলাদেশের চা-পান দোকানদারও লেনদেনের হিসাব অন্তত সিগারেটের প্যাকেটে সাদা অংশে লিখে রাখেন। আর গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তির ডায়রিতে কিছু আঁকাআঁকিকে উপজীব্য করে ঘুষ কেলেঙ্কারির মতো অভিযোগ তুলে সারা বিশ্বের কাছে হাস্যরসের সৃষ্টি করে বিশ্ব ব্যাংক। বিশ্ব ব্যাংক বেঁকে বসল। অজুহাতও খুঁজে পেল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কমিশন তদন্ত শুরু করল। তবে শেষমেষ কোনো অভিযোগই পেল না। আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো, তারা বয়ে বেড়াল গ্রানি ও অবমাননার ক্ষত। তাদের পরিবারের সদস্যরাও লজ্জায় ঘরবন্দি জীবনযাপন করতে লাগল। অপেক্ষা করতে থাকল কবে সত্যের জয় হবে।

বাংলাদেশে পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলো কানাডার একটি আদালতে। কানাডার কোম্পানি এসএনসি লাভালিনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল ওই মামলায়। আর এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে তাদের ঋণ বন্ধ করে দেয়।

এরপর বিগত বছরগুলোতে অনেক বিতর্ক হয়েছে, কানাডার আদালত সেই দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেয়।

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই যে ওই অভিযোগ আনা হয়েছিল। ৫ বছরের বেশি সময়ের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত বলেছেন- এই মামলায় যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, তা অনুমানভিত্তিক, গালগল্প এবং গুজবের বেশি কিছু নয়। এসএনসি-লাভালিনের তিন কর্মকর্তাকে অব্যাহতিসহ পুরো মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক নিজেরা তদন্ত শুরু করে এবং তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই তারা কানাডা পুলিশকে সেদেশের এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ ছিল যে, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের তদারকি কাজ পাওয়ার জন্য শর্ট লিস্টে থাকা ওই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছে। যদিও তারা এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।

দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন আর তখনকার সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের পর তাদের সবাইকেই সসম্মানে অব্যাহতি দেয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অনেকের মধ্যে একটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল যে, হয়তো কোনো ষড়যন্ত্র হতেও পারে।

বিশ্ব ব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ সহায়তা স্থগিত করে, তখন সেটি ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জন্য এক বিরাট ধাক্কা।

২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল পদ্মা নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণ করা।

বাংলাদেশের নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই সেতুকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

২০১২ সালে পদ্মা সেতুর ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় হতবাক হয়ে গেল বিশ্বব্যাংক। তারা আবার বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করল। তবে তার আগেই বঙ্গবন্ধুর সাহসি কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের আশায় বসে না থেকে দেশের মানুষের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। নির্মাণকাজও শুরু করলেন। তরতর করে এগিয়ে গেল স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। একেকটি পিলারের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর মানুষের উচ্ছ্বাস আরো বাড়তে থাকল। পদ্মা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে মানুষ আকাশের পানে চেয়ে দেখতে থাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগ। এ দেশের মানুষের কষ্টের টাকায় গড়ে উঠল আমাদের অহংকারের প্রতীক, মর্যাদার প্রতীত ও অভিজাত্যের প্রতীক পদ্মা সেতু। ‘আমরাও পারি’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই স্লোগান বিশ্বের মানুষকে অবাক করে দিল। ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হলো পদ্মা সেতু। পরের দিন থেকে শুরু হলো যানবাহন চলাচল।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছিলেন- ‘বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সঙ্গী হিসেবে বিশ্বব্যাংক স্বীকার করে যে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতির জন্য বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে। এই সেতু দেশে সমন্বিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে গতি সঞ্চার এবং দারিদ্র্য কমাতে ভূমিকা রাখবে।’ এছাড়া পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিশাল অবদান রাখবে।

দুদকের কাছে উপস্থাপিত পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ নাকচ হওয়ায় ও কানাডার আদালতে অভিযোগ নাকচ হওয়ায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে লাগল। বিশ্ব ব্যাংক পরবর্তিতে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায়। নানা প্রকল্পে ঋণ দেয়া অব্যাহত রেখেছে।

তবে, সবচেয়ে গৌরবের বিষয় হচ্ছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রিত হয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ মর্যাদার আসন দেয়া হচ্ছে। যে বিশ্ব ব্যাংক অন্যের প্ররোচনায় আমাদের পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করেনি, সেই বিশ্ব ব্যাংক আজ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ৫০ বছর পালন করছে। বাংলাদেশকে এই ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানটি কত বড় মর্যাদার আসন দিয়েছে, তা সহজেই অনুমেয়। বাংলাদেশ আজ ঋণ শোধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ঋণ খেলাপি হওয়ার কোনো দৃষ্টান্ত নেই। তাই বিশ্বের প্রধান ঋণদানকারী এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার জন্য উন্মুখ। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে আজ অর্থনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ স্থিতিশীল। কেন না, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিকে কোনো প্রকার প্রশ্রয় দেননি। অপচয় রোধ করেছেন। অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করেছেন। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান কিংবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বার্ষিক খরচের লাগাম টেনে ধরেছেন। বিশ্ব অর্থনতিক মন্দা পরিস্থিতি যাতে আমাদের দেশে আঘাত করতে না পারে, সেজন্য আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। একটি বাড়ি একটি খামার এই নীতিতে উজ্জীবিত আমাদের কৃষক আজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। মানুষের মাথপিছু আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রিজার্ভ সন্তোষজনক। একদিনে ১০০ সেতু এবং নতুন ও সংস্কারকৃত ১০০ সড়ক মহাসড়কের উদ্বোধনের নজির বিশ্বে নেই। অর্থনৈতিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে বিস্ময়। আর সেই কারণে বিশ্ব ব্যাংকও আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানের আসন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানিত হওয়ায় আমরাও আজ গৌরবান্বিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত