দেশের বিভিন্ন স্থানে অরক্ষিত গ্যাস পাইপলাইন থেকে হরহামেশা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এতে সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন ভবনে গ্যাস জমে গ্যাস চেম্বার তৈরি হয়ে বড় বড় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। এতে মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে দেখা গেছে।
গত ১ মে পুরান ঢাকায় এবং গাজীপুরে পৃথক গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন ২৭ জন। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় ধূপখোলা বাজার মাঠে গ্যাসলাইন মেরামতকালে রাস্তায় ওয়াসার লাইন খননের সময় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ মিম আক্তার বলেন, ধূপখোলা মাছবাজার-সংলগ্ন মুদি দোকান ও পাশেই তাদের ভাড়া বাসা। মিমের বাবা তখন দোকানে বসা ছিলেন। সংলগ্ন রুমে মিম ও তার ছেলে ছিল। তাদের দোকানের সামনে গ্যাসের লাইন, পাশে ওয়াসা পানির লাইনের জন্য ড্রেন খননের কাজ চলছিল। সেখান থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে তাদের দোকান ও ঘরসহ আগুন ছড়িয়ে পড়লে এতে তারা দগ্ধ হয়।
দগ্ধ রহিমের ছেলে মো. আল আমিন জানান, কয়েক দিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছিল। তবে তারা
কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছিল। সকালে সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়।
দগ্ধ শিক্ষার্থী মেহেদির বন্ধু হাসান আলী জানান, ধূপখোলা এলাকায় একটি ম্যাচে আমরা থাকি। সকালে মেহেদি বাজার করতে গিয়ে সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, রহিমের শরীরে গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। পরিবারের অন্য দুইজনের দগ্ধের পরিমাণ বেশি নয়।
একই দিন ঢাকার পাশের গাজীপুরের কাশিমপুরে দক্ষিণ জরুন এলাকার একটি পোশাক কারখানায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে ১৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার দিদারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল্লাহ-আল আরেফিন জানান, কারখানার একটি কক্ষে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে প্রথমে আগুন লাগে এবং পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, দগ্ধদের ১১ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন সাতজন। কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, মে দিবসে কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু ২ মে বিদেশি বায়ার আসার কথা। এজন্য সকাল থেকে কিছু কর্মচারী ও ক্লিনার নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ফ্লোর ডেকোরেশনের কাজ চলছিল। তিনি আরো বলেন, কারখানার
বাইরের দিকে গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ আছে। সেখান থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে আগুন ধরে যায়। তখন কর্মচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। হঠাৎ বিকট শব্দে কক্ষটি বিস্ফোরণ হয়। এতে আমাদের ১৮ জন কর্মচারী দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, মে দিবসে কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাস লাইনে চাপ (প্রেসার) বেড়ে যায়। এতে গ্যাস সরবরাহ রুম (আরএমএস) কক্ষের একটি ভালব লিকেজ থেকে ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এর চার দিন আগে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর পাশর্^বর্তী রূপগঞ্জের কাঞ্চন সড়কের রূপসী এলাকায় তিতাস গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাই প্রেসার তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজ হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপসী কাঞ্চন সড়কে তিতাস গ্যাসের ৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ রয়েছে।
দুপুর ১টার দিকে রূপসী এলাকায় ওই পাইপ লাইনে হঠাৎ লিকেজ হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বিকট শব্দে গ্যাস বের হচ্ছিল। এতে করে রূপসীসহ আশপাশের এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
শিল্প এলাকা হওয়াতে মিলকারখানার শ্রমিক এবং মালিক পক্ষের লোকজনের মধ্যেও এ আতঙ্ক ছড়ায়।
খবর পেয়ে তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁও জোনের যাত্রামুড়া শাখা কার্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্যাসের ডিআরএস (গ্যাসের নিয়ন্ত্রণ স্টেশন) থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেন। পরে ধীরে ধীরে শব্দ কমতে থাকে এবং গ্যাস বেরোনো বন্ধ হয়ে যায়।
এতে করে উপজেলার তারাবো, বরাবো, যাত্রামুড়া, রূপসী, মুড়াপাড়া, মাছিমপুর, মিরকুটিরছেও, ভুলতা, পাচাইখা, শোনাবো, গোলাকান্দাইল, শাওঘাট, সিংলাব, মিয়াবাড়ীসহ আরো কয়েকটি এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন আবাসিক গ্রাহকরা।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁও জোনের যাত্রামুড়া শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মেজবাউল হক বলেন, পাইপলাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস বেরোচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তিতাসের লোকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় এবং ডিআরএস থেকে তাৎক্ষণিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। দ্রুত লিকেজ হওয়া পাইপলাইন মেরামতে কাজ শুরু করে কর্মীরা। এমন ঘটনায় মেরামত কাজ শেষ হলে ফের গ্যাস সরবরাহ চালু করা হয়।
এদিকে গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর অদূরে ঢাকার ধামরাইয়ের কুমরাইল এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী মঞ্জুরুলের ভাড়া বাসার কক্ষে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জানুয়ারি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুই বছরের শিশু মরিয়ম আক্তারের মৃত্যু হয়।
ঈদের পর গত মাসের শেষ দিকে রাজধানীর অনেক এলাকায়
তিতাসের গ্যাস পাইপলাইন লিকেজের ঘটনা ঘটেছে।
ছিদ্র দিয়ে বের হওয়া গ্যাসের গন্ধে অনেক এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর প্রায় সব এলাকা থেকেই ফোন এসেছে এ সমস্যা নিয়ে। আতঙ্কিত লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেয়।
এদিকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেজে ২৪ এপ্রিল রাতে এক
পোস্টে বলা হয়- ‘ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে যাওয়ায় (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ।’
এদিকে গ্যাসসহ নানা কারণে রাজধানীজুড়ে মার্কেটে মার্কেটে আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত ১ মাসের ব্যবধানে রাজধানীর বঙ্গবাজার, সিদ্দিক বাজার, নিউমার্কেট, পুরান ঢাকা, নবাবপুর, এলিফ্যান্ট রোড, বায়তুল মোকাররম স্বর্ণমার্কেট ও উত্তরা বিজিবি মার্কেটসহ কয়েকটি মার্কেটে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এখন বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে নারায়ণগঞ্জে পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত মুসুল্লি দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩৪ মারা যান। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন।
তিতাসের গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে এত মানুষের প্রাণহানির পর তিতাসের বিতরণ এলাকার মানুষ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাইপলাইনের লিকেজ নিয়ে। তিতাসের হাতে যে তথ্য রয়েছে, তাতেই বলা হচ্ছে ১ হাজার ৬২২টি লিকেজ রয়েছে তাদের বিতরণ এলাকায়। এর মধ্যে সংস্কার করে ঠিক করা হয়েছে ৭৮১টি। বাকি ৮১৪টি এখনো অরক্ষিত। প্রশ্ন উঠেছে, এই ৮১৪টি লিকেজ থেকে তাহলে কত দুর্ঘটনার
আশঙ্কা রয়েছে!
ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ পর্যন্ত গ্যাস বিতরণ করে তিতাস। বেশির ভাগ পাইপ লাইনেরই মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেক আগে। এসব পাইপলাইন একবার বসানোর পর নিয়মিত দেখভালেরও অভাব রয়েছে। গ্রাহক লিকেজ খুঁজে পেলে তিতাসকে ফোনে জানালে তিতাস ব্যবস্থা নেয়। অন্তত নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনার পর তিতাস প্রমাণ করে দিয়েছে পাইপলাইনের লিকেজ খুঁজে বের করার দায় গ্রাহকের। গ্রাহক জানার পরও তিতাসকে না জানানোটাই তাদের অপরাধ। আর তিতাসের জানাশোনার বাইরে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তিতাসের কোনো দায় নেই। নারায়ণগঞ্জ মসজিদে দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব জানিয়েছিলেন, তিতাস ৪ লাখ রাইজার অনুসন্ধান করে ৭ শতাংশে লিকেজ পেয়েছে।
অর্থাৎ, তিতাসের কাছে আগে থেকেই লিকেজের খবর রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা সংস্কার করা হয় না। তবে
এই দুর্ঘটনা ঘটার পর তিতাস কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসে। তিতাসের পক্ষ থেকে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তাতে প্রত্যেক বিভাগের জন্য আলাদা টেলিফোন নম্বর দিয়ে লিকেজের তথ্য জানাতে গ্রাহককে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিতাসের হাতে থাকা লিকেজগুলো দুই মাসের মধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এসব লিকেজ থেকে এর মধ্যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে-এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
তিতাসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বড় একটি ধাক্কা না খেলে আমরা শিখি না। গ্যাস বিতরণ লাইনে ত্রুটিগুলো সময়মতো ঠিক করা হলে এ ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও আমাদের এখানে তা হয় না।’ এর জন্য তিতাসের গাফিলতিকেই তিনি বড় করে দেখেন। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে হয়তো বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গত
কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে গ্যাসের কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেই চলেছে।’
তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) রানা আকবর হায়দারি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে লিকেজের তালিকা করেছি। তালিকা অনুযায়ী জোন ভাগ করে সেই জোনের ডিএমডি এবং জিএমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা বেশিরভাগ লিকেজ মেরামত করতে পারব বলে
আশা করছি। যেসব লিকেজ মেরামতের ক্ষেত্রে অনেক টাকার প্রয়োজন, সেগুলা বাছাই করে হেড অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কাজ শুরু করে দিতে বলা হয়েছে, যাতে করে যা বিল আসে, তা বোর্ডে পাস করে দ্রুত ছাড় দেয়া যায়। ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের ডিএমডি এবং ঢাকা নর্থ আর সাউথের জিএমকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা এরই মধ্যে তাদের এলাকার লিকেজের হিসাব আমাদের দিয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘আমরা জোন ভাগ করে তালিকা ধরে ধরে একটা একটা করে লিকেজ মেরামত করতে বলেছি। এর মধ্যে বেশিরভাগ লিকেজ সারাতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়। তবে কিছু আছে জটিল। যেমন হাইওয়ের নিচে অথবা নদী বা খালের নিচের, সেগুলোও এখন বের করে মেরামত করতে বলা হয়েছে। এইগুলো মেরামত করতে
মাসখানেক সময় লাগতে পারে।’
১ মে দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় পুরান ঢাকার গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ধূপখোলা বাজারের রাস্তায় ওয়াসার ঠিকাদার পানির পাইপ স্থাপনের সময় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিতাস গ্যাসের জরুরি টিম ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামতের কাজ করছে।