বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে : ইইউ

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ইউরোপীয় ট্রেড কমিশনার এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিস বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব হিসেবে অভিহিত করেছেন। গত শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত শনিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ট্রেড কমিশনার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইবিএ স্কিমের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হিসেবে বাংলাদেশের প্রশংসা করে, এলডিসি মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের স্বাচ্ছন্দ্য উত্তোরণ এবং জিএসপি প্লাস ছাড়ের জন্য বাংলাদেশের আবেদন করার জন্য ইইউ’র সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ এবং ইইউ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সকে ইউরোপীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসার অর্থবহ যোগসূত্র রচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি শ্রম খাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশের অভিযোজনের প্রশংসা করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে ইইউ’র ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন। তিনি ইভিপিকে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং এলডিসি থেকে উত্তোরণে প্রস্তুত করার জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতে ইইউ’র অনেক বড় ভূমিকার বিষয়টিও অবহিত করেন।

বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তিরও আশু শুরুর ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছে, যা উন্নত সম্পর্ককে সুসংহত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি প্রক্রিয়া হবে। ইইউ পক্ষকে সরকারের গৃহীত গণমুখী নীতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদন খাতে কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি ও টেকসই করার মতো বিষয়ও রয়েছে। বাংলাদেশের শ্রম খাতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চলমান প্রচেষ্টাকে সীমিত করে এমন বাস্তবতার কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী আলম ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টারে ‘ইপিসি টকস জিওপলিটিক্স’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক ভূমিকা, ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের প্রভাব, বৈশ্বিক শান্তি, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আরো অনেক বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা করেন। বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও উন্নয়নে দেশটির ক্রমবর্ধমান ভূমিকা সম্পর্কে অনুষ্ঠানটির আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক কোর, একাডেমিয়া এবং মিডিয়ার সদস্যদের সমন্বয়ে শ্রোতা-দর্শকমণ্ডলী আলোকিত হন।

প্রতিমন্ত্রী ৪ মে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস পিটার্সের সাথে দেখা করেন এবং দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ুবান্ধব প্রযুক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য ইআইবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগকে কাজে লাগানোর সুযোগ নিয়েও এ সময় আলোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) সেক্রেটারি জনারেল স্টেফানো স্যানিনোর সাথেও একটি বিস্তারিত বৈঠক করেছেন।