ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইজারায় সাড়া মিলছে না পাটকল চালুর উদ্যোগ

ইজারায় সাড়া মিলছে না পাটকল চালুর উদ্যোগ

লোকসান ঠেকাতে প্রায় ৩ বছর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল যুগের অবসান ঘটে। সেই সঙ্গে বছরের পর বছর পড়ে আছে পাটকলগুলোর মূল্যবান সম্পদ। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভারী যন্ত্রপাতি।

তবে বন্ধ ২৫টি পাটকলের ১৯টি ইজারার মাধ্যমে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)। ইজারায় পাটকল চালাতে প্রায় ২ বছর আগে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে সংস্থাটি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সেই দরপত্রে তেমন সাড়া মিলেনি। ফলে এখন পর্যন্ত ৯টি পাটকল ভাড়াভিত্তিক ইজারা সম্পন্ন করতে পেরেছে বিজেএমসি। এভাবে চলতে থাকলে পাটকলের সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়বে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিজেএমসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্ধ পাটকলগুলোর মধ্যে ৯টি ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র তিনটি পাটকল উৎপাদনে যেতে পেরেছে। তবে কবে নাগাদ সব পাটকল পুনরায় চালু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সংস্থাটির সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ২৫টি পাটকলের মধ্যে ১৯টির ইজারার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যে দুটি পাটকল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পাটকল দুটি চালুর সম্ভাবনা নেই। বাকি চারটি পাটকল সিটি করপোরেশন এলাকায় পড়েছে। ফলে এসব পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার চিন্তাবাদ দিয়েছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, পাটকলে পাটপণ্য উৎপাদন শর্তে টেন্ডার দেয়া হয়েছিল। কারণ, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম পাটকলগুলোয় শুধু পাটপণ্য উৎপাদনের শর্তে ইজারাদাররা বিনিয়োগে আগ্রহী হয় কি না। কিন্তু এই শর্তে খুব বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী দেখাননি ইজারাদাররা। ফলে এবার পাটকলগুলোয় জুটের পাশাপাশি টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন শর্তে ইজারা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৯টি পাটকল ইজারা দেয়া হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদিউল আলম মজুমদার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে পাটকল চাঙা। তারা পাটপণ্য উৎপাদন করে দেশের চাহিদার পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করছে। সেখানে আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার দায়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে।

বিদেশি উৎপাদনকারীদের স্বার্থ হাসিলে দেশের জনস্বার্থ পরিপন্থি কাজ মোটেও সঠিক হয়নি। এখন বন্ধ পাটকল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অথচ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব পাটকল চাঙা রাখতে পারত সরকার। আগামীতে পাটকলের সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে।

জানা গেছে, পাটকল ইজারায় ২০টি শর্ত দিয়েছে বিজেএমসি। এখানে পাটকল পরিচালনার দায়িত্বে পাট সম্পর্কিত পণ্য ছাড়া অন্য পণ্য উৎপাদন করতে পারবে না। ২৪ মাসের অগ্রিম ভাড়া সরকারের হাতে জমা দিতে হবে। তারপর বুঝিয়ে দেয়া হবে পাটকল। এসব শর্তে পাটকলের দরপত্র আহ্বান করা হলেও ইজারাদারদের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া মিলেনি। তাই এবার পাটকল ইজারায় নতুন শর্ত যোগ করা হয়েছে। পাটকলে পাটপণ্য ছাড়াও জুটের সঙ্গে সম্পৃক্ত চামড়া জাতীয় যেকোনো পণ্য উৎপাদন করতে পারবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন এই শর্ত যোগ করে তৃতীয় পর্যায়ে ১০টি পাটকলের দরপত্র আহ্বান করা হবে।

সংশ্লিষ্ট তথ্য বলেছে, বিজেএমসি দরপত্র আহ্বান করার পর ১৯টি পাটকল লিজ নিতে ৫৯টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়। দরপত্র যাচাই শেষে ৯টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৯টি পাটকল ইজারা দেয়া হয়। নরসিংদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে বে ফুটওয়্যার লিমিটেড, চট্টগ্রামে অবস্থিত কেএফডি জুট মিলস পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে ইউনিটেক্স কম্পোজিট, সিরাজগঞ্জে অবস্থিত জাতীয় জুট মিলস পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে যুক্তরাজ্যের জুট রিপাবলিক, চট্টগ্রাম কুমিরায় অবস্থিত এমএম জুট মিলস লিমিটেড, আরআর জুট মিলস লিমিটেড, খুলনার প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলস্ লিমিটেড ও যশোরের অভয়ননগর জে. জে. আই জুট মিলস লিমিটেডের পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে আকিজ গ্রুপ। তবে আরও দুটি পাটকল ইজারা দেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল লিজের টার্মস অব রেফারেন্সে (টিওআর) ২০টি শর্তের মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি মিল প্রথমবার ৫ থেকে ২০ বছরের জন্য লিজ দেয়া হবে, লিজ গ্রহণকারী লিজের সম্পত্তি সাব লিজ, মর্টগেজ দিতে পারবে না। একই সঙ্গে কোনো ব্যক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে ঋণ নিতে পারবে না, চুক্তির লঙ্ঘন হলে সরকার তিন মাসের নোটিশে লিজ বাতিল করতে পারবে, লিজের মেয়াদে লিজ গ্রহণকারীর নাম বদলানো যাবে না, মিল হস্তান্তরের আগে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির বিস্তারিত হিসাব করা হবে, সরকার ও উদ্যোক্তা উভয়ে ছয় মাসের নোটিশে স্বাভাবিকভাবেই এই লিজ চুক্তি বাতিলের উদ্যোগ নিতে পারবে, বছর শেষে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ জমি, স্থাপনা ও মেশিনারিজের রিভিউ হিসাব দিতে হবে। যাতে সরকারি সম্পত্তি লিজগ্রহণকারী কৌশলে সরাতে না পারে, লিজের সময় কোনো মানবীয় ক্ষতি হলে লিজ গ্রহণকারীকে দায় নিতে হবে, উদ্যোক্তা নিজ দায়িত্বে যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করবে। কোনো কারণে পুরোনো মেশিনারিজের জায়গায় নতুন মেশিনারি কেনা হলে পুরোনো যন্ত্রপাতি সরকারকে ফেরত দিতে হবে, কোনো স্থাপনার নকশা পরিবর্তন করতে হলে অনুমোদন নিতে হবে, লিজের মেয়াদ শেষে হিসাব অনুযায়ী সম্পত্তি সরকারের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া লিজ নিতে আরো বেশকিছু শর্ত রয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে আমিন জুট মিল পরিদর্শনে গিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছিলেন, এক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব বন্ধ মিল চালু করা হবে। মন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রায় সাত মাসে ৯টি পাটকলের ইজারা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পাট অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ৯০ লাখ ৯১ হাজার বেল কাঁচা পাট উৎপাদিত হয়েছে। তার আগের বছর পাট উৎপাদিত হয়েছিল ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার বেল। বিজেএমএ এবং বিজেএসএ জানায়, বেসরকারি পাটকলগুলোর জন্য বছরে ৬০ লাখ বেল কাঁচা পাট প্রয়োজন। আর গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য দরকার ৫ লাখ বেল। সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ থাকায় দেড় বছর ধরে সার্বিকভাবে কাঁচা পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কিছুটা কমেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় বাংলাদেশের পাট ও পাটশিল্প বিশ্বের বুকে স্বমহিমায় উজ্জ্বল ছিল। শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল পাটকল। এসব পাটকলে শ্রমজীবীদের ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান হাতিয়ার ছিল পাটশিল্প। কারণ বিশ্বের অন্যান্য পাট উৎপাদনকারী দেশের চেয়ে বাংলাদেশের পাট উন্নত ও অধিক সমাদৃত ছিল। কিন্তু বছরের পর বছর লোকসানের মুখে পরায় প্রায় ৩ বছর আগে দেশের সব পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে বেকার হয়ে পড়ে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। পাটকলের স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, অবসরপ্রাপ্ত ও অবসানকৃত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা এবং মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি বাবদ ৯২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরের বছর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালে বিজেএমসির আওতায় ৭০টিরও বেশি পাটকল ছিল। কিন্তু ধারাবাহিক লোকসানের কারণে মিলসংখ্যা কমতে কমতে ২৫-এ গিয়ে ঠেকে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইতে না পারা, সঠিক পরিকল্পনা ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে সর্বশেষ পাটকলগুলোও বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই লোকসানে ছিল বিজেএমসি। লোকসান হলে কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য সরকারের অর্থের ওপর নির্ভর করতে হতো বলে প্রতি মাসেই শ্রমিক-কর্মচারীদের এ-সংক্রান্ত সমস্যা চলছিল। সংস্থাটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বন্ধ ঘোষণার কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাট শিল্পকে আবার কিভাবে প্রতিযোগিতায় আনা যায় এবং কিভাবে শক্তিশালী করা যায়, সেই বিবেচনা থেকেই পাটকলগুলো বন্ধ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিশ্ব এখন সবুজায়নে জোর দিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৮টি দেশ পলিথিন ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ওই দেশগুলোয় বিপুল পরিমাণে পাটের ব্যাগের চাহিদা সৃষ্টি হবে। পাটবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল জুট স্টাডি গ্রুপের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে বছরে ৫ হাজার কোটি পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে।

বাংলাদেশ জুট ডাইভারসিফায়েড প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল করীম মুন্না বলেন, বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের কারণে পাটের সম্ভাবনা অফুরন্ত। সম্ভাবনাময় আন্তর্জাতিক বাজারের ১০ শতাংশও দখল করতে পারলে শুধু এই পাট দিয়েই বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কারখানা স্থাপন করতে হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য প্রবেশের জন্য গবেষণা বাড়ানো ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা-মাফিক পণ্য তৈরির জন্য দেশে দক্ষ জনবল তৈরি করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যান্ত্রিক সুবিধা বাড়াতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। এজন্য বেসরকারি খাতকে যেমন সহযোগিতা প্রয়োজন, তেমনি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লাভের মুখ দেখতে না পারার একটি বড় কারণ নতুন নতুন প্রযুক্তি না আসা ও পণ্যের বহুমুখিতা না হওয়া। এছাড়া অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি তো ছিলই।

বিজেএমসির তথ্য বলেছে, পাটকলগুলোয় ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত ৫ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা লোকসান দেয়। লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা-অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর পর ২০২০ সালে ১ জুলাই পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয় সরকার।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন মো. নাসিমুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ২৫টি পাটকলের ১৯টির ইজারা দেয়া হবে। বাকি ছয়টি পাটকলের মধ্যে দুটি নিয়ে মামলা চলছে, আর চারটি পাটকল সিটি করপোরেশন এলাকায় পড়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় পাটকলগুলো ইজারা দেয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় পাটকল ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে জুট পণ্য উৎপাদনের শর্ত ছিল। তৃতীয় পর্যায়ে এসে পাটকলগুলোয় জুটের সঙ্গে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনের শর্ত যোগ করা হয়েছে। জুটের সঙ্গে টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন করায় পাটকলের সাফল্যের সম্ভাবনা ক্ষীণ হবে কি না- এমন প্রশ্নে বিজেএমসি মহাব্যবস্থাপক বলেন, পাটকল ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের। এখানে পাটের সাফল্যের সম্ভাবনা কোন স্তরে গিয়ে পৌঁছাবে, তা বলা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত