ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন

সংসদে তামাক আইনের সংশোধনী পাসের দাবি

সংসদে তামাক আইনের সংশোধনী পাসের দাবি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপন ও অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ : অগ্রগতি ও করণীয়সমূহ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যে তিনটি বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হলো বর্তমান আইনকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত করা। তার আলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি যুগোপযোগী করতে একটি খসড়া সংশোধনী প্রণয়ন করেছেন, যেটি বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আছে। প্রস্তাবিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনে যেসব সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা/মোড়কবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি করা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন মনে করে সংশোধনীটি পাস হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি যেমন বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত হবে, সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তিও আরো উজ্জ্বল হবে; এবং তামাকের ভয়ঙ্কর ছোবল থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পথ সুগম হবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে দেশের অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করে অনুমোদন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তামাক আইন সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত