ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সফলতা অর্জন

বললেন মোস্তাফা জব্বার
ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সফলতা অর্জন

দেশব্যাপী ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৪ বছরে আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএসের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এক দেশ, এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে। ইন্টারনেট এখন মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার হতো সাড়ে ৭ জিবিপিএস। যা বর্তমানে ৪ হাজার ১০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। সে সময়ের ৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্থলে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটি। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অপরিহার্য। এ বিষয়েও আমরা অত্যন্ত মনোযোগী। এজন্য একইসঙ্গে আইপিভি ৪ ও আইপিভি ৬ অ্যানাবল রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আইএসপিএপি ও বিডিনগ আয়োজিত সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপের সম্মেলন স্যানোগ ৩৯ ও বিডিনগের ১৬তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা, ডাটা নিরাপত্তা, ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী ভিশন ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে প্রথাগত সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরিত হচ্ছে। এবারের ঈদে ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রূপান্তর হয়েছে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এসব রূপান্তর সম্ভব হচ্ছে। ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে জীবনের রসদ। তিনি বলেন, এরইমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা থাকবে না। আমরা দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অঞ্চলে মোবাইল ফোনের জন্য ফোর জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। ২০২১ সালে আমরা ৫জি প্রযুক্তি চালু করেছি। সম্মেলনে বাংলাদেশের ৪ জনসহ ১১ জন নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীকে ফেলোশিপ দেয়া হয়। সম্মেলনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ দিন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চলবে নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীদের কর্মশালা। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি দেশের ৩০০ জন প্রকৌশলী অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান, এপনিকের মহাপরিচালক পল উইলসন, সেনগ চেয়ারম্যান রুপেস শ্রেষ্ঠ, বিডিনগ প্রেসিডেন্ট রাশেদ আমিন এবং আইএসপিএবি সভাপতি মো. এমদাদুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল এইজ ডিসির হেড অব ইন্টারকানেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন রাফেল হো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত