ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গণপূর্ত অধিদপ্তর

পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারে বড় সাফল্য

পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারে বড় সাফল্য

দেশ স্বাধীনতার পর রাজধানীসহ সারাদেশে বহু বাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও স্থাবর সম্পত্তির মালিকদের হদিস পাওয়া যায়নি। ফলে বহু বেনামি বাড়ি ও সম্পত্তি দখল করে নেয় জালিয়াতচক্র। শুধু দখল করেই ক্ষ্যান্ত ছিল না, পরিত্যক্ত বাড়ি ও বেনামি জমি নিজের নামে নিতে ভুয়া দলিল তৈরি করে জালিয়াতচক্র। বর্তমানে এসব বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারে কড়া নজর দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে আবাসন সংকট নিরসনে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করে বহুতল ভবন করেছে এবং করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে ২০টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ৩৯৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। চট্টগ্রাম শহরে ১৫টি পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৫৭৬ এবং ডরমিটরি ৬৪।

এ বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ‘মানুষের কাছে জমি খুবই লোভনীয়, সেই জমি ঢাকায় হলে তো কোনো কথাই নেই। মূল্যবান জমি দখলে নিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মহামান্য আদালতের মাধ্যমে কব্জা করে নেয় অনেকে। তবে বর্তমানে জমি উদ্ধারে জোরাল ভূমিকা নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।’

তিনি বলেন, ‘অন্য রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাবস্থায় বেদখল হওয়া সরকারি সম্পত্তি/জমি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারে জোরাল ভূমিকা নেয়া হয়নি। ফলে, জমি দখলে রাখতে ভূমিদস্যুরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এবং জাল দলিল তৈরি করে। তবে ২০০৯ সালের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব জমি উদ্ধারে জোরাল ভূমিকা নেয়ার নির্দেশনা দেন। তার সেই নির্দেশনায় ১৪ বছরে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেদখলীয় সরকারি জমি ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি উদ্ধারে সক্ষম হয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এসব জমিতে আবাসনের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।’

প্রধানমন্ত্রী জনগণের স্বার্থকে বেশি প্রধান্য দেন এমন মন্তব্য করে সচিব বলেন, ‘ঢাকার মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় ১২ থেকে ২০ কাঠার প্লট পাওয়া কঠিন। সেজন্য এসব এলাকায় পরিত্যক্ত সম্পত্তি এবং এর পাশাপাশি আদালতের রায়ের মাধ্যমে বেহাত হওয়া পরিত্যক্ত সম্পত্তির জমি অধিগ্রহণ করে হলেও বহুতল ভবন নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সে নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে।’

কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, ‘গণপূর্তের বিপুল পরিমাণ জমি বেদখলে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব জমি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কিছু জমি এরই মধ্যে সরকারের অনুকূলে আনাও হয়েছে। বাকি জমিও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। কারণ, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার-জালিয়াতের মাধ্যমে কোনো দখলদার সরকারি জমি ভোগ করতে পারবে না।’

রাজধানীসহ সারাদেশে ৮ হাজার ৮১৬ দশমিক ৬ একর জমি রয়েছে গণপূর্তের। প্রভাবশালী মহল দামি জমি টার্গেট করে দখলে নিয়েই জাল দলিল সৃজন করেই মামলা করে দেয়। এমন বেশকিছু মামলায় সরকারপক্ষে রায় এসেছে। যেক্ষেত্রে বিপক্ষে রায় আসে সেক্ষেত্রে আপিল করে পক্ষে রায় আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব। মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশে অনেক সম্পত্তি পরিত্যক্ত বলে চিহ্নিত হয়। এসব সম্পত্তির মালিকরা যুদ্ধের সময় নিহত হন কিংবা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং অনেকের ঠিকানা জানা যায়নি। এসব সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও নিষ্পত্তির জন্য ১৯৭২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ পরিত্যক্ত সম্পত্তি (নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও নিষ্পত্তি) আদেশ জারি করেছিলেন, যা ১৯৮৫ সালে অধ্যাদেশ হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। তবে সেই আদেশ বাস্তবায়ন বা প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়েনি। কিন্তু ২০০৯ সালের পর ওই আদেশ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। সেই নির্দেশ পৌঁছে যায় সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে। বেনামি সম্পত্তি দখলমুক্তে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন সংকট নিরসনে বহু বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আগামীতে মতিঝিল, পল্টন, মোহাম্মদপুর ও পুরান ঢাকাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ছয়টি পরিত্যক্ত ও ২৯টি বাড়ি অধিগ্রহণ করে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি। সব ঠিক থাকলে প্রস্তাবিত প্রকল্প দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে।

গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেলের ঢাকার আওতাধীন প্রস্তাবিত ছয়টি পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা করেছে। এলিফ্যান্ট রোড ১ এবং ২ নম্বর, মগবাজার বেলালাবাদ হাউজিং, আজিমপুর চায়না ভবন, বনানী ১৩ নম্বর রোডের ৪৭ নম্বর বাড়ি এবং গুলশান ১৩৫ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়ির জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করতে নকশা প্রস্তুত করেছে সংস্থাটি। বর্তমানে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২৯টি বাড়ি অধিগ্রহণ প্রকল্পের প্রস্তাবের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে- মতিঝিলের ১২৬ মতিঝিল বা/এ, ৪ ও ৫ মতিঝিল বা/এ, ১৬২ মতিঝিল বা/এ, শহবাগ ৭ ময়মনসিহংহ রোড, ৩৩ দিলু রোড, ৩৮৮ (পুরোনো) নিউ ইস্কাটন, ৫ (নতুন) নিউ ইস্কাটন, তেজগঁাঁও ১৮৯ তেজকুনী পাড়া, ৩৫৮ এলিফ্যান্ড রোড, ৫৪ পুরানা পল্টন, ৩/৩-বি, নর্থ সাউথ রোড পুরানা পল্টন, ৩/৫ পুরানা পল্টন, ৩ আর.কে, মিশন রোড, সূত্রাপুর/লালবাগ এলাকার ৫১ বনগ্রাম রোড এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় ১৫টি বাড়ি, মোহাম্মদপুর ২২ ব্লক-ডি শেরশাহসুরী, ২৫/১৮ ব্লক-ডি শেরশাহসুরী, ২৫/২৭ ব্লক-ডি শেরশাহসুরী, আর-২৯ ব্লক-ডি নুরজাহান, ১/১ ব্লক-ডি নুরজাহান, টি-৮ ব্লক-ডি নুরজাহান, ১১/১৮ ব্লক-সি তাজমহল, ৭/১০ ব্লক-সি তাজমহল, জি-১১ ব্লক-ই জাকির হোসেন, ই/১০ ব্লক-ই জাকির হোসেন, আলিফ-১ ব্লক-ই জাকির হোসেন, ৩/২৮ ব্লক-ডি সলিমুল্লাহ, জেড-৪ ব্লক-ডি সলিমুল্লাহ, ৫/৩০ ব্লক-ডি শহিদ সলিমুল্লাহ এবং কে-২ ব্লক-ই কাজী নজরুল ইসলাম রোড। এসব বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আবাসন সংকট নিরসনের পরিকল্পনা করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, আবাসন সংকট নিরসনে জোর দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে আজিমপুর, তেজগাঁও, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে এবং করছে। এসব বেনামি সম্পত্তি এবং পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং অধিদপ্তরের বেশকিছু প্রকৌশলী দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান। তারা বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি খুঁজে বের করেন। এরপর মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবহিত করে এসব সম্পত্তি উদ্ধারে যান কর্মকর্তারা।

তবে বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারে গিয়ে মামলা ও হুমকির মুখোমুখি পড়ছেন কর্মকর্তা এবং প্রকৌশলীরা। কারণ, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান আমলে নির্মিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি এতদিন ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাপা দিয়ে রেখেছিল জালিয়াতচক্র। গণপূর্ত অধিদপ্তর সেই জালিয়াতচক্র মোকাবিলা করে বেনামি ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি উদ্ধার করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। শিগগিরই আরো বেশকিছু বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগরে পরিত্যক্ত ৩৬ বাড়ি প্রকল্প হাতে নেয়ার প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের ‘নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি’ ৪৩টি পরিত্যক্ত বাড়ির মালিকানা দাবি করে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। ওই মামলায় গণপূর্ত অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়কে পক্ষভুক্ত করা হয়নি, যার কারণে মামলাটি সরকারের বিপক্ষে রায় হয়। পরবর্তীতে গণপূর্ত অধিদপ্তর বিষয়টি জানার পর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলা করে। তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ওই মামলা পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেন, যার ফলে মামলায় রায় সরকারের পক্ষে আসে। ওই সময়ে মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনায় ৩৬ বাড়ি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পরিত্যক্ত বাড়ি বা সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মূল সমস্যা হচ্ছে, পরিত্যক্ত বাড়িগুলো খালি ও দখলভার বুঝে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো বাড়িতে মামলা চলমান আছে, আবার কোনো কোনো বাড়িতে বর্তমানে অ্যালোটি আছেন, যারা বাড়িটি ছাড়ছেন না। কিছু বাড়িতে সরকারি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ নিয়ে আছে। এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের নামে স্থায়ী বরাদ্দ নেয়ার চেষ্টা করছেন। আবার কিছু বাড়িতে মামলায় বিচারাধীন রয়েছে। এসব বাড়িতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বসবাস করছেন। তারা পরিত্যক্ত বাড়িগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বা খালি করে দিতে অনেক সময় নিচ্ছেন, যার কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। এতে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে। চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি আরো বেশকিছু বহুতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প করা হয়েছে।

বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তর। টেকসই, নিরাপদ, সাশ্রয়ী আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণে এগিয়ে চলছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আবাসন সংকট নিরসন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি নিয়ে কিছু দখলদার মামলা করেন। আইনি প্রক্রিয়া সরকারের পক্ষের আইনজীবী ওই মামলা মোকাবিলা করেন। এভাবে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোনো মামলা সরকারের বিপক্ষে গেলে, তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পরিত্যক্ত সম্পত্তি উদ্ধারে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জোরেশোরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ সার্কেল (ঢাকা) ও ২০ বাড়ি প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ‘বর্তমান সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পর পরিত্যক্ত সম্পত্তি-সংক্রান্ত প্রকল্প হাতে নেয়ার বিষয়ে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। চলমান প্রকল্পগুলোর যেসব বাড়ি বুঝে পাওয়া যায়নি, সে বিষয়ে তিনি নিদের্শনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত বাড়ি বা সম্পত্তি বুঝে পাওয়া গেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকাসহ সারাদেশে ৬০টি পরিত্যক্ত বাড়ি নিয়ে গণপূর্ত, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউককে প্রকল্প হাতে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সচিব। এই ৬০টি পরিত্যক্ত বাড়ি সচিব নিজে তত্ত্বাবধান করছেন।’

বেনামি সম্পত্তি ও পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধারে বড়সড় সাফল্য দেখিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তৎকালীন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি সংসদে বলেছিলেন- রাজধানীতে ৬ হাজার ৪০৬টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত