সেন্টমার্টিনে আঘাত করে মিয়ানমারে মোখা

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

গত সাত দিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের স্থলভাগে উঠে গেছে। আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে এলাকার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে গতকাল বিকাল ৩টায় মিয়ানমারের স্থলভাগে অবস্থান করছিল। সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা গতকাল দুপুর ২টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আঘাত হানতে শুরু করে। ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সন্ধ্যা নাগাড় সেন্টমার্টিন অতিক্রম করে। এ সময় ঝড়ের তীব্রতায় উড়ে গেছে ঘরবাড়ির চালা। উপড়ে গেছে গাছগাছালি। গাছ পড়ে দুইজন নিহতের খবর পাওয়া গেলেও তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে আছড়ে পড়ে। সেখানে এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস বলেছে, রাখাইনে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে অনেক ভবনের ছাদ উড়ে গেছে ও অন্তত তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। উপকূলে আছড়ে পড়া শক্তিশালী এ ঝড়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে লক্ষাধিক মানুষ মঠ, প্যাগোডা ও স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা সেন্টমার্টিনের মতো কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছরা, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ উপকূল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। ভেঙেছে গাছগাছালি। এতে অনেক সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের মতো বড় প্রভাব পড়েনি কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায়।

তবে সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখার দ্বিতীয় ভাগ দেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ সেন্টমার্টিন অতিক্রম করেছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে সেন্টমার্টিন হয়ে মিয়ানমারের দিকে অগ্রসর হয়েছে। এ সময় তা সেন্টমার্টিনে আঘাত হানে। সন্ধ্যা নাগাদ কক্সবাজারেও ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখনো কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সেন্টমার্টিন জোনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সহকারী উপ-পরিদর্শক মাহফুজ বলেন, মোখার প্রভাবে প্রচুর ঝড় আর বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনো বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝড়ে গাছ ভেঙে সেন্টমার্টিনে দুইজন নিহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে সেন্টমার্টিনে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

ঘূর্ণিঝড় মোখায় কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে বড় কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানা গেছে। এই দুই উপজেলায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার তঞ্চ্যঙ্গা বলেন, কুতুবদিয়ায় মোখার তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও ক্ষতির খবর আমাদের কাছে নেই। তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা নিম্নাঞ্চল পরিদর্শন করে দেখব।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এখনো পর্যন্ত কক্সবাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সাগরে জোয়ার আসলে পানি ও বাতাসের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে। এ পর্যন্ত ২ লাখের অধিক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সেন্টমার্টিন নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। সেখানে দুপুর ২টা থেকে দমকা হাওয়ায় বাড়িঘর ল-ভ- হয়েছে বলে খবর পাচ্ছি। দুইজন মারা গেছে বলে আমরাও খবর পাচ্ছি। তবে, সুষ্ঠু যোগাযোগ না থাকায় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু দিলদার নামে একজন গাছ পড়ে আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি।

আবু সুফিয়ান আরো বলেন, আমরা আজ রাতেও অবজারভেশনে থাকব। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রশাসনের সমন্বয় হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। উপকূলের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানান প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।

তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তাণ্ডবে দুপুর থেকে এ রিপোর্ট লিখার সময় পর্যন্ত (সন্ধ্যায়) সেন্টমার্টিনের গাছপালা ও ভবনগুলো কাঁপছিল। আশপাশের ভবনের টিনের চাল উড়ে যাচ্ছিল। বিভিন্ন দুর্বল রিসোর্ট ভেঙে পড়েছে। সেখানে ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল।

গতকাল বিকাল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ওপর ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব বেশি পড়েছে। সেন্টমার্টিনে এখনো তাণ্ডব চলছে। টেকনাফে বেলা সাড়ে ১১টায় ৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বয়ে গেছে। এখনো তাণ্ডব বলবৎ রয়েছে। সেন্টমার্টিনে দুপুর ১টায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে, ২টায় ১২১ কিলোমিটার, ২টা ২০ মিনিটে ১১৫ কিলোমিটার, আড়াইটায় ১৪৭ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

তিনি জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আসাদুর রহমান আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির বড় অংশ মিয়ানমারের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। সেন্টমার্টিনে আমাদের দুটি ভবন আছে। এক ভবন থেকে অন্য ভবনে কেউ যেতে পারছে না। অনেক দুর্যোগময় পরিস্থিতি। ভবনগুলো কাঁপাকাপি করছে।

এ আবহাওয়াবিদ বলেছেন, সেন্টমার্টিনে আমাদের কর্মকর্তারা দেখছেন, আশাপাশের ভবনের টিনের চাল উড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দুর্বল রিসোর্ট ভেঙে পড়ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিস্তারিত আরো পরে জানতে পারব। ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেখানে বহু দুর্বল স্থাপনা আছে, যেগুলো টিকে থাকার মতো না।

তিনি জানান, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। গতকাল রোববার বিকাল ৩টায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর অবস্থান করে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে দুর্বল হলেও ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে প্রচণ্ড গতিবেগে বাতাস বইছিল সন্ধ্যায়ও।

গত ৮ মে সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ওই দিন মধ্যরাতে এটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। ৯ মে সন্ধ্যার পর সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপ এবং গত বুধবার সকালে তা গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে সেটি আরো শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নেয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় দেশের উপকূলীয় জেলা-উপজেলাগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, গতকাল বিকালের দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিট্যুয়ে শহরের কাছে ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগে নিয়ে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ।

দেশটির সেনাবাহিনীর তথ্য কার্যালয় বলছে, ঝড়ের কারণে সিট্যুয়ে, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল ফোনের টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া মোখার তাণ্ডবে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের কোকো দ্বীপপুঞ্জের বেশকিছু ভবনের ছাদ উড়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।

সিট্যুয়ে শহরের আশ্রয়কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা টিন নিন ওও বলেন, শহরের ২ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে অন্য শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আরো ২০ হাজারের বেশি মানুষ শহরের উঁচু এলাকায় অবস্থিত মঠ, প্যাগোডা ও স্কুলের মতো মজবুত ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় অনেক বাসিন্দা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটারের বেশি উঁচু এলাকায় বসবাস করেন। তাদের বিশ্বাস, ঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস এসব এলাকায় পৌঁছাবে না।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি টিটন মিত্র এক টুইট বার্তায় বলেন, মোখার আঘাত শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি ও ক্ষতিগ্রস্ত সব সম্প্রদায়কে সমানভাবে সাহায্য করার তাগিদ অনুভব করছি।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্য উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা, আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক দায়িত্ব পালন করছে তারা। ঘূর্ণিঝড় মোখায় সাধারণ জনগণ, পোষা প্রাণী, ঘরবাড়ি, ফসল, মাছের ঘের, প্রাণিসম্পদ ও বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে এবং জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোর নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট জেলা কমান্ড্যান্ট ও ব্যাটালিয়ন অধিনায়কগণের প্রতি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে হাতিয়া উপজেলার ২৫৫টি এবং সূবর্ণচর উপজেলার ১৫১টি আশ্রয় কেন্দ্রে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সহায়তায় প্রায় তিন লাখ দুর্গত মানুষকে স্থানান্তর করা হয়। তাদের দেখাশোনা ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য ভিডিপি ইউনিয়ন লিডার ও আনসার কমান্ডাররা তৎপর আছেন। এছাড়া সেন্ট মার্টিন, সন্দ্বীপ ও ভোলাসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলাগুলোতেও সাধারণ মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছে তারা।