ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ

অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল তার সরকারি বাসভবন গণভবনে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউনের সাক্ষাৎকালে তিনি এই মনোভাব পোষণ করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘এই অঞ্চলের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার্থে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’

ইহসানুল করিম বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে একটি প্রজন্মের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরিয়ান সাফল্যের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সাফল্য বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী কোরিয়ায় তার দুটি সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, দ্বিতীয় সফরে তিনি সেখানে বিস্ময়কর উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছেন। কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ), কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

এ প্রসঙ্গে লি জাং-কিউন বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে ওডিএ ছিল ৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা এখন ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাত থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহী। তিনি গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে অত্যন্ত সন্তোয় প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমার হৃদয়ে আছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বিদায়ি সাক্ষাৎ : ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন গতকাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তার কার্যালয়ে বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। ‘ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট এ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ শুরু করেছি।’ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং আইসিটি সংশ্লিষ্ট বৃহৎ প্রকল্পে দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সমর্থন পাওয়ার বিষয়েও পলক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আইসিটি খাতসহ সব খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী দিনগুলোতে আরো এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে-দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়েও আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, খুব শিগগিরই দক্ষিণ কোরিয়ার ই-গর্ভনমেন্ট সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত