ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি

বললেন মতিয়া চৌধুরী
শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ই মে ঝড়-বৃষ্টি শেখ হাসিনাকে থামাতে পারেনি। তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি, মানুষ তার অধিকার ফিরে পেয়েছে। তিনি ঠিকই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছেন। আজকে এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কনভেনশন হলে দাঁড়িয়ে বলতে পারি চিকিৎসা সুযোগ নয়, চিকিৎসা আমার অধিকার। এভাইে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

গতকাল শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে (বিএসএমএমইউ) আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যেদিন ফিরে এসেছিলেন সেদিন প্রকৃতিও অঝর ধারায় কেঁদেছিল। সেদিন এয়ারপোর্টে লাখ লাখ জনতার মুখে স্লোগান ছিল ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে। শেখ হাসিনা এদেশের মাটিতে পদার্পণ করে বলেছিল- আমার হারানোর কিছু নাই, পিতা-মাতা-ভাই, আত্মীয় হারিয়ে আমি বাংলার জনগণের কাছে ফিরে এসেছি। আপনারাই আমার আপনজন, আপনারাই আমার আত্মার আত্মীয়। আমরাই আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করব।

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছিলেন বলেই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার হয়েছিল। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হলো, তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এগুলোর কোনো কিছু হতো না যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী স্বদেশ প্রত্যার্তন না করতেন।

তিনি আরো বলেন, তিনি এসেছিলেন বলেই এদেশে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সুপর স্পেশালাইজড হাসপাতাল হয়েছে। এদেশের কোনো রোগী যেন বাহিরে না যায়, সেজন্য উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছেন। দেশে ১১৩টি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে, এখন দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা করোনা মহামারিকে সফলতার সাথে মোকাবিলা করতে পেরেছি।

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলাদেশ কেনো এগিয়ে গেল, তার চারটি কারণ দেখিয়েছে পাকিস্তানের সুশীল সমাজ। প্রথম কারণ, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, এখানে সাম্প্রদায়িতকতার বিষবাষ্প ছড়ানো হয় কিন্তু এদেশের মানুষ তা গ্রহণ করে না। দ্বিতীয় হলো নারীর ক্ষমতায়ন। তৃতীয় হলো অগণতান্ত্রিকভাবে এদেশে কেউ আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আর চতুর্থ হলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি শুধু দেশের মানুষের অনুপ্রেরণা নয়, তিনি সারা বিশ্বের নেতাদের অনুপ্রেরণা। যার কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশা পাাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও অধিক সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান।

চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে আয়োজিত আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচএম রেজাউল করিম রেজা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত