বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নিরাপত্তা

তবুও থেমে নেই স্বর্ণ চোরাচালান

প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  উমর ফারুক আল হাদী

দেশের তিনটি বিমানবন্দর স্বর্ণ চোরাচালানের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে পাচারকারী সিন্ডিকেট। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকার পরেও থেমে নেই স্বর্ণ চোরাকারবারি চক্র। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে হযরত শাহজালাল, শাহ্্ আমানত ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নিয়ে আসছে স্বর্ণের বড় বড় চালান। প্রায় প্রতিদিনই কিছু স্বর্ণ উদ্ধার হলেও স্বর্ণের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে না- বলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এবং কাস্টমসের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশেই বিমানগুলোতে চলছে স্বর্ণ চোরাচালান। প্রতি বছর ৬০ থেকে ৬৫ টন স্বর্ণ দেশে প্রবেশ করছে। তবে ছোট ছোট স্বর্ণের চালান একের পর এক ধরাও পড়ছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ৫৭ মণ স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। জব্দকৃত স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রয়েছে। এর বাইরে আরো বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ চোরাই পথে দেশে এসেছে এবং প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়েছে।

স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের কর্মীও রয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত ৩১৮টি মামলা হয়েছে। বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের ২৬০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে প্রতি মাসেই স্বর্ণ দেশে প্রবেশ করছে। আবার এসব স্বর্ণের অধিকাংশই প্রতিবেশী দেশে পাচার হচ্ছে। স্বর্ণ চোরাচালানকারি সিন্ডিকেট হযরত শাহজালাল, শাহ আমানত ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে স্বর্ণ নিয়ে আসছে। দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে আনা হচ্ছে এসব স্বর্ণ। বিমানবন্দরগুলোর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও প্রতি বছর গড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টন স্বর্ণ চোরাই সিন্ডিকেট দেশে নিয়ে আসছে। স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন অবৈধভাবে স্বর্ণ আমদানির নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। এসব বিমানবন্দরে রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আছে শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা, এপিবিএন, কাস্টমস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তাব্যবস্থা। আছে কঠোর নিরাপত্তা নজরদারি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান আগের চেয়ে এখন অনেক কমে আসছে। আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এবং সনাতন পদ্ধতি সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। তিনি বলেন, এরই মধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ উপায়ে স্বর্ণ নিয়ে এলে কেউই পার পাচ্ছে না। এতসব নিরাপত্তার মধ্যেও প্রায় প্রতিদিনই স্বর্ণের বড় বড় চালান আসছে। মাঝেমধ্যে কিছু স্বর্ণ জব্দ করা হলেও বেশিরভাগই রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবৈধভাবে স্বর্ণ বহনকারীদের কেউ কেউ আটক হলেও নেপথ্যের গডফাদাররা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপায়ে স্বর্ণ আমদানি ও পাচার করায় সরকার শুধু কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে না, বৈদেশিক মুদ্রাও পাচার হয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক খাতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

স্বর্ণ চোরাকারবারি গডফাদারদের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। ঢাকা কাস্টমস হাউসের তথ্য মতে, ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৯৪ কেজি ৯২২ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করেছে। অথচ এ সময়ের মধ্যে ৫৩ টন স্বর্ণ অবৈধভাবে দেশে এসেছে। তবে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের একটি সূত্র বলেছে, ২০২২ সালে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসা ৫৩ মণ স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়েছে। এ তিন বিমানবন্দরে ২০২০ সালে জব্দ করা হয়েছে ৭০ মণ, ২০২৩ সালে এপ্রিল পর্যন্ত ৩০ মণ স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসব স্বর্ণ অবৈধভাবে আমদানির সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় ৩২০টি মামলা হয়েছে। গত ২ বছরে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার কারণে শাস্তি হয়েছে ২১৭ জনের এবং ১৭ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিমানবন্দরে মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে অবৈধভাবে যারা স্বর্ণ নিয়ে আসছেন, তারা ধরা পড়ছে। জব্দ করা হচ্ছে স্বর্ণ।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে। তবে আগের চেয়ে এখন অনেক কমে আসছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সিভিল এভিয়েশনের যারা জড়িত ছিলেন তাদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেউ কেউ চাকরিচ্যুত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা বসে নেই। স্বর্ণ পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোরভাবে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিমানবন্দরগুলো দিয়ে দেশে বছরে কী পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধভাবে আসছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই কারো কাছে। তবে দেশে প্রতি বছর কী পরিমাণ স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে, তা জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির একজন কর্মকর্তা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, দেশে প্রতি বছর ১৮ থেকে ২০ টন নতুন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অবৈধ পন্থায় প্রতি বছর ৬০ থেকে ৬৫ টন স্বর্ণ আসছে। চাহিদার চেয়ে বেশি স্বর্ণ আসলেও তা আর দেশের বাজারে থাকে না। প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯টি প্রতিষ্ঠান বা স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স দিয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সের মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি করা হয়নি। ২০২২ সালে মাত্র সাতটি লাইসেন্সে ২৪ কেজি এবং ২০২১ সালে ৯৩ কেজি স্বর্ণ আমদানি করা হয়েছে। প্রতি ভরি স্বর্ণের জন্য শুল্ক কর দিতে হয় ৫ হাজার টাকা। এজন্য লাইসেন্সধারীরা বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি করেন কম। অন্যদিকে একজন যাত্রী প্রতি ভরিতে ২ হাজার টাকা শুল্ক কর পরিশোধ করে স্বর্ণ আনতে পারেন। ফলে যাত্রীদের মাধ্যমেই অধিকাংশ স্বর্ণ আনা হচ্ছে।

এদিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১২ সালের মার্চ থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় আড়াই টন স্বর্ণ জব্দ করা হয়। শুল্ক ফাঁকির কারণে এ বাবদ ১ হাজার ২০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ২০০ জন, যাদের অধিকাংশই স্বর্ণ বহনকারী।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজম বলেন, বিমানের কিছু অসাধু কর্মী স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগ অনেক পুরোনো। বর্তমানে তা কঠোরহস্তে দমন করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকেই চাকরিচ্যুত হয়েছেন। বিভাগীয় মামলা হয়েছে। জড়িতদের শাস্তি হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দিচ্ছি না। তবে বর্তমানে স্বর্ণ চোরাচালান কমে আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ১৪ হাজার ৩৩ কেজি স্বর্ণ রিজার্ভ ছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিলে তা ১৫ হাজার ৭৮০ কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। এসব স্বর্ণের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা আছে ২ হাজার ৩৬৩ কেজি স্বর্ণ। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভল্টে জমা আছে ৫ হাজার ৩৯৪ কেজি স্বর্ণ। লন্ডনের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও এইচএসবিসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৪ কেজি স্বর্ণ।

এদিকে চলতি বছর মার্চ মাসে ২৫ কেজি স্বর্ণ নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর নিলাম ডেকেও উপযুক্ত দরদাতা না পেয়ে তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। জব্দ করা স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। তবে মামলা সংক্রান্ত আইনি জটিলতার কারণে জব্দ করা স্বর্ণের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার এসব স্বর্ণ বছরের পর বছর অলসভাবে পড়ে আছে।

জানা যায়, ২০২২ সালে শাহজালাল, শাহ্্ আমানত ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে ৫৪ টন স্বর্ণ দেশে প্রবেশ করছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা। আবার এসব স্বর্ণ প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এসব স্বর্ণ পাচারের কাজ দুবাই ও সিঙ্গাপুর বসেই নিয়ন্ত্রণ করছে ১০ সিন্ডিকেটের গডফাদাররা। যাদের টিকিটিও ছুঁতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ স্বর্ণ পাচারের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করছে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালে মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে ৫ হাজার ৩৪৫ কেজি স্বর্ণালংকার আমদানি হয়েছে। এসব আমদানিকৃত স্বর্ণ অধিকাংশ যাত্রীরা নিয়ে এসেছেন। প্রতি ভরি স্বর্ণের জন্য ২ হাজার টাকা শুল্ক কর আদায় করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সে আনলে প্রতি ভরিতে ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়। এজন্য কিছু কিছু ব্যবসায়ী একজন যাত্রীকে দিয়ে ২৩৪ গ্রাম করে স্বর্ণ আনেন এবং এক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা শুল্ক কর পরিশোধ করেন।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিজ) আনোয়ার কবীর বলেন, ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী যাত্রী ২০ হাজার টাকা শুল্ক কর দিয়ে ২৩৪ গ্রাম স্বর্ণ আনতে পারেন। ফলে যাত্রীদের মাধ্যমেই বেশি স্বর্ণ আমদানি করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। ফলে তাদের লাইসেন্স ব্যবহার কম করেন।

অভিযোগ রয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্বর্ণ চোরাচালানিদের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্র প্রায় প্রতি সপ্তাহেই অবৈধভাবে স্বর্ণের বড় বড় চালান নিয়ে আসছে। স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন ও কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীও গ্রেপ্তার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত। ফলে কথিত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বন্ধ হচ্ছে না স্বর্ণ চোরাচালান। এদিকে কাস্টমস হাউজের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কাস্টমস কর্মকর্তারা ৬৪৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেন, যার মূল্য প্রায় ২৭০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জব্দ করা হয় ৪২৯ কেজি স্বর্ণ, যার বাজার মূল্য তৎকালীন সময়ে ছিল ১৭০ কোটি টাকা।