ভূমি মন্ত্রণালয় একটি সেবামুখী মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর এবং সংস্থায় কর্মরত সবাইকে ভূমিসেবা গ্রহীতার সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান উপলক্ষ্যে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিন কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর এবং সংস্থার ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হন।
ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা সনদ ও স্মারক তুলে দেন। সেই সঙ্গে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্মার্ট ভূমিসেবার অন্যতম অনুষঙ্গ সুশাসন। আমরা যতই সিস্টেম বদল করি না কেন, সিস্টেমের অপারেটর তথা পেছনের মানুষ যদি দক্ষ এবং সততাপরায়ণ না হন, চূড়ান্তভাবে উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। দক্ষ এবং সততাপরায়ণ গণকর্মচারী সুশাসন নিশ্চিতকরণের জন্য অপরিহার্য। এ সময় জনগণকে সরকারের পরিকল্পিত স্মার্ট ভূমিসেবা বিষয়ে অবগত করা ছাড়াও ভূমিসেবায় নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং দ্রুত প্রযোজ্য সেবা দেয়ার মাধ্যমে ভূমিসেবা সপ্তাহ, ২০২৩ সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভূমিসেবা সপ্তাহ ভূমিসেবা গ্রহণকারী, জমির মালিক এবং ভূমিসেবা প্রদানকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্র্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি করার এক চমৎকার উপলক্ষ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর এবং সংস্থায় কর্মরতদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আরিফ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান ভূঁঞা, সাট মুদ্রাক্ষরিক মো. মনজুর রহমান, অফিস সহায়ক মো. আব্দুর রহমান এবং অফিস সহায়ক মো. সাদ্দাম হোসেন।
