ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দোহায় শেখ হাসিনা

আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে

আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল দোহার র‌্যাফলস হোটেলে কাতার ইকোনোমিক ফোরামে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর অ্যাট লার্জ হাসলিন্ডা আমিন। সঞ্চালক এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অর্থনীতি-রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী তার জবাব দেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হাসলিন্ডার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তখন নির্বাচনটা শুধু একটা খেলা ছিল। বাংলাদেশের উন্নত দেশ হওয়া উচিত। সেটিই আমার লক্ষ্য। জনগণের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছি। কেন আমি সেটা নষ্ট করব? অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

নির্বাচনে সব দলের অংশ নেয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নাও করতে পারে। কিন্তু অন্য অনেক দল আছে, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। কিছু দল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। তারা কীভাবে অংশ নেবে? তাদের আমলে দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমাদের জনগণ কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। দেশের সর্বত্রই ছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ। তারা কখনো মানুষকে নিয়ে ভাবেনি। আমাদের জনগণের দিনে একবেলা খাবার পাওয়া ছিল খুব কঠিন। এই ছিল তখন দেশের পরিস্থিতি।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণের সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই এখন নির্বাচন, এটা তো জনগণের অধিকার। আমরা জনগণের জন্য কী করেছি, মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে আছি, যদি না দেয়, ঠিক আছে। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে তার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং পরে তিনি দেশে ফিরে আসার কথা স্মৃতিচারণ করে বলেন, তখন থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। এটা ছিল আমাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার সংগ্রাম এবং আমরা এটি করেছি।

বিএনপিকে নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোন প্রশ্ন তোলেনি। কী ছিল সেই নির্বাচনের ফলাফল? যে দলটি (বিএনপি) প্রশ্ন তোলে, তাদের দল, তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দল মিলে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। ভোট জনগণের শক্তি, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করার জন্য নয় বরং আমি আমাদের জনগণের ক্ষমতায়ন চাই। তাদের সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিভিন্ন উপ-নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের আমলে অনেক উপ-নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আপনি দেখতে পারেন, কারা সমস্যা তৈরি করছে, আমরা নই। তবে প্রত্যেক নির্বাচনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। সরকার সবাইকে নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সুতরাং আমি আপনাকে বলতে পারি, আমি এখানে আছি আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং এটা আমাদের সংগ্রাম। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছেন দেশের সেবা করতে এবং জনগণের সেবা করতে, যাতে তারা অধিকতর ভালো ও সমৃদ্ধ জীবন পায়। বিএনপি অপরাধী ও খুনিদের দল- এমন মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।আইএমএফের ঋণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ঋণ পরিশোধ করতে পারে, আইএমএফ শুধু তাদের ঋণ দেয়। কোনো দেশ ঋণ পরিশোধ করতে পারবে কি পারবে না, তা বিবেচনা করে আইএমএফ সেই দেশকে ঋণ দেয়। বাংলাদেশ অবশ্যই ঋণ পরিশোধে সক্ষম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত