ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ওবায়দুল কাদের

গাজীপুরে গণতন্ত্রের জয়

গাজীপুরে গণতন্ত্রের জয়

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাজীপুরে নৌকার বিজয় হলে দেশের মানুষ যতটা খুশি হতো, তারচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ায়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারবে কি না জিতবে তার চেয়ে বড় কথা হলো, গণতন্ত্র জয়লাভ করেছে।

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল বলেন, গাজীপুরের সুষ্ঠু নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রসংশিত হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন ও গাজীপুরের জনগণকে ধন্যবাদ এবং বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাই। এই নির্বাচনে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, এতদিন বিএনপির নেতারা মিথ্যাচার করে আসছে। এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, গাজীপুরে সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। শেখ হাসিনা ওয়াদা পূরণ করেছেন। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুরের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আগামী চারটি সিটি নির্বাচন, এরপর জাতীয় নির্বাচন একইভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশ দিয়ে গেছেন, আজ তার কন্যা শেখ হাসিনা উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। জ্বালানি সংকট, এটা সারা বিশ্বের সংকট। শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে দেশের বাইরে গেছেন, তিন দিনের জন্য কাতারও গেছেন, সেখানকার আমিরের সঙ্গে জ্বালানি চুক্তি করেছেন, দেশের জন্য জ্বালানি নিশ্চয়তা নিয়ে এসেছেন। কাতারের আমির আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশের জ্বালানির সংকট হবে না। তিনি নিজের জন্য যাননি তিনি গেছেন দেশের মানুষের জন্য। এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, গরিব মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সাধারণ মানুষ যেন ভোগান্তিতে না পড়ে, নিত্য-পণ্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে পারে, সেজন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে আমাদের মাঝে আছেন, তিনি আছেন বলে আমরা আশ্বস্ত হই, মানুষ আস্থা পায়। মানুষ বলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দুর্নীতি করতে পারেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মিথ্যা কথা বলেন না, বঙ্গবন্ধুর কন্যা নিজের ভাগ্য উন্নয়নকে বড় মনে করেন না, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন বড় মনে করেন। তিনি জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন চান, নিজেদের পকেটের উন্নয়ন চান না।

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিএনপি নিজেদের ভোট কমাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দেশের একটি মহল দিন-রাত শেখ হাসিনার দুর্নাম করে বেড়ায়। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়। শেখ হাসিনা বলেছেন সহ্য করতে।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বলব আপনারা কাজ করে যান। আমাদের মধ্যে কেউ খারাপ কাজ করলে তাকে সংশোধন করুন। তাকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করুন। শেখ হাসিনার উন্নয়ন আর আমাদের নেতাকর্মীদের ভালো আচরণ, এ দুটা বিষয়ই নির্বাচনে জয় লাভের হাতিয়ার।

মার্কিন ভিসা নীতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আমরা বাধা দিব কেন? আমাদের দেখা দরকার কারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। যারা নির্বাচন চায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। অথচ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না। কোনো বিদেশি বন্ধু একবারও কাউকে বলেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে। যারা নির্বাচনে বাধা দেয় তাদের বিরুদ্ধে এ ভিসা নীতি কার্যকর হয় কি না সেটা দেখার বিষয়। বিএনপি চেয়েছিল নিষেধাজ্ঞা, এসেছে ভিসা পলিসি। এ ভিসা পলিসি দেখে বিএনপির ঘুম হারাম। ফখরুলের মুখ শুকিয়ে গেছে।

দণ্ডিত তারেক রহমান প্রতিনিয়ত অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তি কি করে প্রতিদিন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে? আদালতের আদেশ কেন মানছে না তারেক? মনের মতো না হলে তারা আইন-আদালত মানে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত