মা-ছেলে মিলে গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটি উপহার দেব

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পাওয়ার পর গতকাল সকালে গাজীপুরের ছয়দানায় নিজ বাসভবনে আনন্দঘন পরিবেশে গণমাধ্যমের সামনে আসেন নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন। সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

এ সময় জায়েদা খাতুন বলেন, আমি আমার বিজয় গাজীপুর মহানগরবাসী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব। সেই সঙ্গে নগরবাসীর জন্য গ্রিন এন্ড ক্লিন সিটি উপহার দেব। সকল উন্নয়নমুলুক কাজ করার ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতায় মা-ছেলে একত্রে কাজ করব।

তিনি বলেন, গাজীপুরবাসী আমাকে বিজয়ী করেছে- এ ঋণ শোধ করব এলাকার উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে। এটা আমি একা করতে পারব না। আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে ছেলের বাকি কাজগুলো করব। এসব কর্মকাণ্ডে আপনাদের ও নগরবাসীর সহযোগিতা চাই।

মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঘড়ি মার্কা নিয়ে জয় পাওয়া জায়েদা গাজীপুর সিটির ভোট সুষ্ঠু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি আমার বিজয়টাকে গাজীপুর নগরীর মানুষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে নিরপরাধ। আমার ছেলের সত্য প্রমাণ করার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন শহরের উন্নয়নমূলক যে কাজগুলো করবো তা আমার ছেলেসহ সকলের সহযোগিতা নিয়েই করবো। এমনকি এসব কাজে প্রয়োজনে তিনি নির্বাচনে তার নিকটতম প্রার্থী আজমত উল্লার পরামর্শ ও সহযোগিতা নেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তাকে এবং তার ছেলেকে মানুষ কিরকম ভালোবাসে ও তার ছেলে নিরপরাধ ছিল তা প্রমাণ করার জন্য তিনি এবারের ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানান জায়েদা।

এ সময় মায়ের সঙ্গে উপস্থিত থাকা সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার মা আমার শিক্ষকের মতো, আমার সব কাজে উনি পরামর্শ দিয়েছেন, দেখভাল করেছেন। আজ আমি এখন আর মেয়র নেই। কিন্তু উনি মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় মায়ের কাজে যতরকমের সহযোগিতা দরকার আমি তার পাশে থেকে করব। বিগত সময়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা আছে তা কাজে লাগিয়ে আমি আমার মাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

গাজীপুর বাংলাদেশের বৃহত্তম সিটি করপোরেশন জানিয়ে তিনি বলেন, আজমত উল্লা খান আমার বড় ভাই। তিনি এবং যারা এখানে নির্বাচন করেছেন এবং রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত তাদেরসহ সবার সহযোগিতায় গাজীপুরকে একটি সুন্দর ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সবার সহযোগিতা নিয়ে শহরটাকে যাতে সুন্দর করে সাজাতে পারি তার জন্য কাজ করব। যাতে এখানে কেউ ভুল না বুঝে এবং কেউ কোনো গুজব ছড়াতে না পারে। নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার শহরবাসী আমাদের বিশ্বাস করেছে, বড় বিপদে আমার পাশে ছিল। এ নির্বাচনে বড় মানুষ ছিল না কিন্তু খেটেখাওয়া মানুষসহ সবাই মা-ছেলের পাশে ছিল।’ তিনি অঙ্গীকার করেন, আমরা মা-ছেলে জীবনের সবকিছু দিয়ে এ শহরবাসীর জন্য কাজ করার চেষ্টা করব। যাতে এ শহরে মানুষ সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে।