নির্বাচনকে সামনে রেখে নাটক শুরু করেছে বিএনপি

ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সমানে রেখে আওয়ামী লীগকে আক্রমণকারী হিসেবে সাজাতে নাটক-নাটক খেলা শুরু করেছে বিএনপি। কেরানীগঞ্জে বিএনপির নাটক ধরা খেয়েছে। খাগড়াছড়িতেও নাটক। আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে নাটক সাজাতে নতুন কৌশল নিয়েছে বিএনপি।

গতকাল বিকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকার নতুন ভিসানীতি নিয়ে বিএনপি বেকায়দায় আছে। এতে আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি নেই। আমেরিকার নতুন ভিসানীতিতে বিএনপির গলা বসে গেছে, মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় না, ভয় পায় এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে।

তিনি বলেন, মার্কিন নতুন ভিসানীতিতে আমাদের একটা লাভ হয়েছে, এতোদিন তারা নালিশ করেছে আমেরিকার দরবারে, নিষেধাজ্ঞা আসবে; নিষেধাজ্ঞা কই? নিষেধাজ্ঞা এখন তাদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসানীতিতে, নির্বাচনে গোলমাল করলে ভাঙচুর, মানুষ পোড়ালে, বাস পোড়ালে, যারাই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করবে, আগুন সন্ত্রাস করবে, তারাই আজকে ভয় পাচ্ছে। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, কাজেই দেশি-বিদেশি কাউকে আমরা ভয় পাই না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করি। সর্বশেষ গাজীপুরে দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা তাদের প্রধান শত্রু। কারণ, বাংলাদেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ শেখ হাসিনা। তিনি দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেন। তিনি নিজের কথা ভাবেন না, ভাবেন দেশের কথা। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। জনগণের কষ্ট দূর করতেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর আস্থা রাখুন, তাকে ভুল বুঝবেন না। বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করেন একজন নেতাই, তিনি প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভয় পাচ্ছেন কেন ফখরুল সাহেব। পায়ের তলায় যখন এত মাটি, তাহলে আসেন না নির্বাচনে লড়ি। আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা, নৌকা বনাম ধানের শীষ খেলা হবে। বাংলার মানুষ ধানের শীষ চায় না। ওরা বলে ধানের শীষ, মানুষ বলে পেটে বিষ। কেউ কেউ বলে সাপের বিষ।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম।

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিটি থানা ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হন রাজধানীর মধ্যবাড্ডায়। এ সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। পরে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে রাজধানীর মধ্যবাড্ডা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। মিছিলটি কুড়িল বিশ্ব রোডে গিয়ে শেষ হয়।