ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আরো কমেছে

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আরো কমেছে

আন্তর্জাতিক বাজারে টানা দরপতনের মধ্যে পড়েছে স্বর্ণ। গত এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩১ ডলার। আগের সপ্তাহে কমে ৩৪ ডলার। এতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৬৫ ডলার। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করতে আজ রোববার বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) দায়িত্বশীলরা। ওই বৈঠক থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে বাজুসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাজারে সবশেষ স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের মতো কমে গেছে। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর একটা চাপ রয়েছে। বাজুসের দায়িত্বশীলরাও আন্তর্জাতিক বাজারের চিত্র নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় স্থানীয় বাজারের তেজাবি স্বর্ণের (পাকা সোনা) দামকে।

সূত্রটি আরো জানায়, দেশের বাজারে সবশেষ স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে এক মাসের বেশি হয়ে গেল। রোববার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের লক্ষ্যে বৈঠকে বসবে। ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যালোচনা করে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। সার্বিক দিক বিবেচনায় বৈঠকে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে মে মাসেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলার কমে যায়। ৪ মে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৪ ডলার পর্যন্ত উঠে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে স্বর্ণের দাম কমতে দেখা যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৯৭৭ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে ১ হাজার ৯৪৫ দশমিক ৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩১ দশমিক ৭ ডলার। আগের সপ্তাহে কমে ৩৩ দশমিক ৭৮ ডলার। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৬৫ ডলার।

এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। তখন প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫০ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ এপ্রিল দেশের বাজারে সব ধরনের স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস।

সে সময় সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৯৩ হাজার ৯৫৪ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৫৪০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৮৭৪ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা করা হয়।

বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। আর ক্রেতাদের স্বর্ণের গহনা কিনতে এই দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ভরিপ্রতি ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা মজুরি গুনতে হচ্ছে। ফলে এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে খরচ হচ্ছে লাখ টাকার ওপরে।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এমএ হান্নান আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমার বিষয়টি আমরা দেখেছি। তবে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করি স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দামের ওপর ভিত্তি করে। আগামীকাল আমরা বৈঠকে বসব। ওই বৈঠক থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত