চাঁদপুরে নির্মাণ হবে আধুনিক নৌবন্দর

* ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ * ব্যয় শতকোটি টাকা

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শওকত আলী, চাঁদপুর

চাঁদপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেছেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুট ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আসা-যাওয়া করা যায়। এই নৌপথের যাত্রা অনেক নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। নিরাপদ ও বিলাসবহুল নৌযান থাকার কারণে এই অঞ্চলের যাত্রীরাও এই রুটে বেশি চলাচল করতে পারছে। চাঁদপুরে এ আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণে ভারতীয় দুটি এবং বাংলাদেশের একটিসহ মোট ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করে আগামী দুই বছরের মধ্যে এ কাজটি শেষ করার কথা বললেন কর্তৃপক্ষ।

গতকাল দুপুরে চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোডে অস্থায়ী বিকল্প লঞ্চঘাট ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবিত আধুনিক নৌবন্দর ভবণ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে এখন সদরঘাটের পরে যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করে চাঁদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌবন্দর। দীর্ঘদিন যাবত এ বন্দরের কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার এ বন্দরকে উন্নয়ন করতে যথেষ্ট উৎসাহী। চাঁদপুরবাসীর দিকে তাকিয়েই এ সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উদ্যোগে একটি আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ করবে। আশাকরি অতি শিগগিরই আমরা নৌবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান, চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, বিআইডাব্লিউটিসি হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর সিপিএস আব্দুল্লাহিল বাকী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানসহ বিআইডাব্লিউটিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এদিকে বিশ্বব্যাংক চাঁদপুর নৌবন্দর নির্মাণের জন্য প্রায় একশ’ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। দরপত্র আহ্বানের পর আগামী জুন মাস থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। এজন্য ভারতীয় দুটি এবং বাংলাদেশের আরো একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ শুরু করে আগামী দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার চিন্তা রয়েছে।

এর আগে বিআইডাব্লিউটি চেয়ারম্যান চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের শরীয়তপুর অংশের আলুবাজার ও চাঁদপুর অংশের হরিণা ঘাট এবং হাইমচরের নায়ারহাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন করতে যান।