দুর্নীতি ঠেকাতে দুদকের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন

প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

দুর্নীতি ঠেকাতে ও রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে উচ্চ পর্যায়ের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান।

দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন বলে একটি কথা আছে। স্ট্রাইকিং ফোর্সের মাধ্যমে সেই রকম একটি সেন্স তৈরি করতে চাচ্ছি। দুর্নীতি হলে সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দুর্নীতিবাজদের ধরতে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেবে।

জানা গেছে, দুদক কমিশনের সিদ্ধান্তের পর সংস্থাটির গোয়েন্দা টিমের প্রধান ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদকে প্রধান করে আট সদস্যের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এবারের আট সদস্যের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সমন্বয়ক হিসাবে রাখা হয়েছে মানি লন্ডারিং বিভাগের পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীকে। টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, দুদক উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ (বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান), উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-৩), উপ-পরিচালক নাজমুল হোসাইন (মানি লন্ডারিং), উপ-পরিচালক মো. তানজির হাসিব সরকার, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামূল আহসান গাজী (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা-২) ও মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকী (মানি লন্ডারিং)।

এর আগে ২০০১ সালে, ওয়ান ইলেভেনের সময় এবং তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে এ ধরনের স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করেছিল দুদক। যদিও পরবর্তীতে সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রোধে টিম গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময়ে ১১টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠিত হয়েছিল। সেই স্ট্রাইকিং ফোর্সের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সেবা খাতে দুর্নীতি দমনে কাজ করা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করা।

জানা যায়, দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লার নেতৃত্বাধীন কমিশনে গত ১৮ এপ্রিল কমিশন সভায় স্ট্রাইকিং ফোর্স বা বিশেষ কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনার জন্য কমিশনে সার্বক্ষণিক স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখা দরকার। কমিশনের বিশেষ তদন্ত বিভাগের অধীন দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম এ লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। আর ওই বিশেষ টিম সাধারণ অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে সম্পৃক্ত থাকবে না।

নির্ধারিত টিমের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স স্পর্শকাতর ও উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি ধরতে কমিটি প্রয়োজনীয় সংখ্যক আরো কর্মকর্তাদের কো-অপ্ট করতে পারবে।