ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিশ্রুতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিশ্রুতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।’

গত রোববার রাতে গণভবনে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠিয়ে তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং ওআইসি সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে এবং জনগণ শান্তিতে বসবাস করছে।

ওআইসি মহাসচিব রোহিঙ্গা সমস্যা ওআইসির জন্য একটি অগ্রাধিকার বিষয় উল্লেখ করে যোগ করেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত।’ ওআইসি মহাসচিব বলেন, ওআইসির কাছে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, ওআইসিতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান অবদানের কথাও স্মরণ করেন। ওআইসি মহাসচিব বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার পাওয়ার ৫০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর এমবাসেডর এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্রবিষয়ক ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

ওআইসির সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত আসকার মুসিনভও উপস্থিত ছিলেন।

ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা পাঁচ দিনের সফরে গত শনিবার ঢাকায় এসেছেন। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে ওআইসি মহাসচিব আগামীকাল অনুষ্ঠেয় আইইউটির ৩৫তম সমাবর্তনে যোগ দেবেন।

বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরো মনোযোগ দেয়া উচিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত দুই দেশের আরো উন্নয়ন।

চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দেশকে কীভাবে আরো উন্নত করতে পারি।’ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

চীনের মন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও হাইটেক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চীনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে এবং তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে। চীনের উপমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে, এবার বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেখেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশে চীনের সহায়তায় নির্মিত আরো পাঁচটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই কোভিড মহামারী চলাকালীন দেশে ফিরে এসেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে মহামারির পরে সে দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন। চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান ওয়েইডং দুই দিনের সরকারি সফরে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা আসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত