স্বল্পোন্নত দেশের শেষ বাজেট

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে চলছে দেশ। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি- এই চার মূল ভিত্তি সামনে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন।

বাংলাদেশ একমাত্র দেশ হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্ল্যানারি সভায় এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের জন্য ৫ বছর প্রস্তুতির সময় থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ফলে সঙ্গত কারণেই এ বছরের বাজেটই হতে পারে স্বল্পোন্নত দেশের শেষ বাজেট, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক পেশকৃত ২৩ তম অর্থনৈতিক দলিল।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় বলেছেন, এবারের বিশাল বাজেটকে অনেকেই মনে করছেন ভোটের বাজেট। তবে আগামী ২০২৪-২৫ এর বাজেট হবে উন্নয়নের রোল মডেলখ্যাত উন্নয়নশীল বাংলাদেশের প্রথম বাজেট। তবে কারো মতে, এটি উন্নয়নশীল দেশে পা রাখা বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও টেক-অফ অর্থনৈতিক মূলভিত্তির এক অনন্য দলিল। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের অর্থায়নে বাজেট প্রণয়নের তাগিদ থেকে প্রারম্ভিক যাত্রার সোপান এটি। এ বাজেট এমনিতেই বেশকিছু চাপকে বিবেচনায় রেখে প্রণীত। একদিকে আইএমএফ এর শর্ত পূরণ, অন্যদিকে নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের সন্তুষ্টি ও স্বাচ্ছন্দ্য। বাংলাদেশের ডলার সংকট কাটাতে আইএমএফ প্রদত্ত ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের শর্তের প্রতিফলন ঘটবে এ বাজেটে।

তিনি আরো বলেন, আর্থিক খাতের সংস্কার, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা, কৃষি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমানোর ন্যায় বেশকিছু বিষয়কে মাথায় রেখে এ বাজেট। তারপরও যেহেতু সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই আবারও জনগণের সমর্থন পেতে বাজেটকে একটি জনকল্যাণমুখী আর্থসামাজিক দলিল হিসেবে প্রণয়ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।